• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বেনাপোল বন্দরে হুমকির মুখে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য

প্রকাশিত: মে ৪, ২০২৩, ১০:৫১ পিএম

বেনাপোল বন্দরে হুমকির মুখে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পণ্যবাহী ট্রাকে সোনাসহ মাদক পাচার বৃদ্ধি পাওয়ায় বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য হুমকিতে পড়ছে। বন্দরের বাংলাদেশ অংশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল থাকায় এসব সোনার চালান আটক হচ্ছে ভারতে। এমন অবৈধ পাচার কার্যক্রমে বাণিজ্যিকভাবে মারাত্মক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

ভারতের সঙ্গে দেশের পণ্য আমদানি রফতানিতে দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোল। এদিকে বাংলাদেশি পণ্যের গুণগত মান ভালো হওয়ায় প্রতিনিয়ত চাহিদা বাড়ছে ভারতে। তবে অবৈধপথে পণ্যবাহী ট্রাকে সোনা, মাদক পাচার নিরাপদ এ বাণিজ্যকে হুমকির মুখে ফেলছে।

সীমান্ত সূত্র অনুযায়ী, গত ৬ মাসে রফতানি পণ্যবাহী ট্রাক তল্লাশি করে প্রায় ২০ কোটি টাকার সোনাবার আটক করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আর গত মাসের ১৮ মার্চ মাছ রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান সাতক্ষীরার মোস্তফা অর্গানিকের ট্রাক তল্লাশি করে মাছের কার্টন থেকে বিএসএফ আড়াই কোটি টাকার সোনাসহ ট্রাক চালককে আটক করেছে।
 
তবে জড়িতদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ অংশে কোন শাস্তিমূলত ব্যবস্থা না নেয়ায় চক্রটি ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে পাচার কার্যক্রম চালাচ্ছে বলে অভিযোগ বন্দর ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের। তারা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য সাধারণ ড্রাইভার ও ব্যবসায়ীরা ভোগান্তিতে পড়ছে। এর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।


বন্দরে পণ্যবাহী সকল ট্রাক স্ক্যানিং করে ভারতে পণ্য আনা-নেয়া করলে পাচার রোধ করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের কার্গো বিষয়ক সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম।

আর বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, উভয় দেশের পক্ষ থেকে পাচার বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে এর পরিমাণ আরও বাড়বে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম।

এদিকে এমন অবৈধ পাচার কার্যক্রম ভারতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের ভাবমূর্তি হুমকিতে ফেলছে মনে করছেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা। 
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক চেকপোষ্ট বিষয়ক সম্পাদক সুলতান আহম্মেদ বিপুল জানান, যারা বন্দরের ও দুই দেশের বাণিজ্যিক পরিবেশ ও সম্পর্ককে বাধাগ্রস্ত করছে; তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।


এডিএস/

আর্কাইভ