• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

এশিয়ার অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে সুখবর দিল আইএমএফ

প্রকাশিত: মে ৩, ২০২৩, ০২:৫৮ এএম

এশিয়ার অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে সুখবর দিল আইএমএফ

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

এশিয়ার অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে সুখবর দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। গত বছরের অক্টোবরে ২০২৩ সালের এশীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার ৪ দশমিক ৩ হওয়ার পূর্বাভাস দিলেও সম্প্রতি আইএমএফ এ প্রবৃদ্ধির হার বাড়িয়ে ৪ দশমিক ৬ করেছে।

মঙ্গলবার (২ মে) আইএমএফ জানায়, জিরো কোভিড পলিসি থেকে চীন সরে আসায় নতুন করে এশিয়ার অর্থনীতি নিয়ে পূর্বাভাস দিতে হচ্ছে। চীনের অর্থনীতি পুনরায় উন্মুক্ত হওয়ায় এশিয়ার ওপরে যে কালো মেঘ ভর করেছিল, তা অনেকটাই কেটে যাচ্ছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরার বরাতে জানা যায়, বছরের শুরুতে বিশ্ব অর্থনীতিতে এশিয়া নিয়ে নানা ধরনের সংশয় থাকলেও, এখন এশিয়ার থেকে বেশি বিপদে আছে পশ্চিমারা। বিশেষ করে পশ্চিমা ব্যাংকিং খাতে ধস নামার পর বিশ্ব অর্থনীতির হালচাল নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে আইএমএফকে।

আইএমএফের অঞ্চলভিত্তিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সাল এশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলগুলোর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বছর। মূলত চীন ও ভারতের হাত ধরে চলতি বছরের অর্থনীতিতে অন্যান্য মহাদেশের তুলনায় সুবিধাজনক জায়গায় থাকবে এশিয়া।


আইএমএফের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২২ সালে এশিয়ার প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৩ দশমিক ৮ শতাংশ, যা চলতি বছরে বেড়ে ৪ দশমিক ৬ শতাংশে দাঁড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০২২ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে শুধু এশীয় অর্থনীতির অবদান ছিল ৭০ শতাংশ। সে হিসেবে চলতি বছরেও এশীয় অর্থনীতি বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আইএমএফের পূর্বাভাস বলা হয়েছে।

সার্বিক প্রবৃদ্ধি ছাড়াও চলতি বছর শুধু চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২ শতাংশ ও ভারতের ৫ দশমিক ৯ শতাংশ হবে বলে আইএমএফের সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। 
 

২০২৩ সাল নিয়ে সুখবর দিলেও পশ্চিমের ব্যাংকিং খাতের মন্দাভাব পূর্বে প্রভাব ফেলতে পারে ও এতে করে ২০২৪ সালে এশিয়ার প্রবৃদ্ধি কিছুটা কমে আসতে পারে বলে শঙ্কা করছে এ সংস্থাটি। 


আগামী বছরে নিরাপদ অর্থনীতি নিশ্চিত করতে এশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোকে নতুন মুদ্রানীতি নিয়ে ভাবার পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ। মূলত সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখা ও মূল্যস্ফীতি সামাল দেয়াকে বর্তমানের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে আন্তর্জাতিক এ অর্থনৈতিক সংস্থাটি।

 

জেকেএস/

আর্কাইভ