• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

যশোরে তৈরি পাখির বাসা রপ্তানি হচ্ছে ইউরোপের ৬ দেশে

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৭, ২০২৩, ০৮:২৪ পিএম

যশোরে তৈরি পাখির বাসা রপ্তানি হচ্ছে ইউরোপের ৬ দেশে

যশোর প্রতিনিধি

যশোরে তৈরি হচ্ছে শৌখিন পাখির বাসা। নিভৃত পল্লিতে ঘরের কাজের পাশাপাশি ৩৫ ধরনের পাখির বাসা বানিয়ে স্বাবলম্বী হচ্ছেন ঋষি সম্প্রদায়ের লোকজন। উদ্যোক্তাদের দাবি, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে রফতানিযোগ্য পণ্যের উৎপাদন আরও বাড়বে।

যশোর সদর উপজেলার চাউলিয়ার দাসপাড়ার গৌরাঙ্গ দাস। ৩৪ বছর আগে এক আমেরিকাপ্রবাসীর মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হয়ে শুরু করেন পাখির বাসা তৈরির কাজ। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। প্রথমে পৈতৃক পেশা হিসেবে বাঁশের ঝুড়ি, চাটাই, ডালা, কুলা ও হাতপাখাসহ নানা ব্যবহার্য পণ্য তৈরি করে এলেও কাজের ধরনের পরিবর্তন আনেন তিনি। সফলতাও পান অভাবনীয়।

গৌরাঙ্গ দাস বলেন, প্রথমে তৈরি করতে গিয়ে ভেঙে যায় পাখির বাসা। এরপর আবার নতুন করে কাজ শুরু করি। এখন এই পাখির বাসার কদর সবখানে। দেশের বাইরেও রফতানি হচ্ছে।

গৌরাঙ্গ দাসের দেখাদেখি আশপাশের অনেকেই নতুন করে পাখি বাসা বানানোর কাজ শুরু করেন। দুই ধরনের বাসা দিয়ে এ কাজ শুরু হলেও এখন তৈরি হচ্ছে ৩৫ ধরনের পাখির বাসা। উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়, বাঁশ, পাট, নারকেলের ছোবড়া, ছন, বাঁশপাতা, খেজুরের পাতা ও বেত।


বর্তমানে ঋষিপল্লির দুই শতাধিক নারী-পুরুষ এ পাখির বাসা তৈরির সঙ্গে জড়িত। এর বাইরে কচুয়া, সীতারামপুর ও বাহাদুরপুরেও তৈরি হচ্ছে পাখির বাসা। আর এ কাজের মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটিয়েছেন তারা।

নারী কারিগররা জানান, সংসারের কাজের পাশাপাশি পাখির বাসা তৈরি করেন তারা। এতে যা আয় হয়, তা দিয়ে সংসারে সাহায্য করেন।

উদ্যোক্তা সুখলাল দাস বলেন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে পাখির বাসার উৎপাদন আরও বাড়ানো সম্ভব হবে। নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হবে।

আর বছরে প্রায় দেড় কোটি টাকার পাখির বাসা বিভিন্ন দেশে রফতানি হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।


এডিএস/

আর্কাইভ