• ঢাকা শুক্রবার
    ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

এপ্রিলের দুই সপ্তাহেই এলো ৯৬ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২৩, ১২:০৯ এএম

এপ্রিলের দুই সপ্তাহেই এলো ৯৬ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চলতি মাসের প্রথম ১৪ দিনে প্রায় ৯৬ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা দাঁড়ায় প্রায় ১০ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা (এক ডলার ১০৭ টাকা হিসাবে)। এ হিসেবে প্রতিদিন গড়ে ৬ কোটি ৮৫ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

রোববার (১৬ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে এ কথা জানা গেছে। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, এপ্রিল মাসের প্রথম ১৪ দিনে ৯৫ কোটি ৮৬ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। এর মধ্যে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৩ কোটি ৪২ লাখ ৩০ হাজার ডলার।

আর বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ২ কোটি ৬৮ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৭৯ কোটি ৪৩ লাখ ২০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। 

এর আগে এপ্রিলের প্রথম ৭ দিনে দেশে এসেছিল ৪৭ কোটি ৬৮ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। 

এ ছাড়া চলতি বছরের মার্চে ২০১ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে, যা বিগত সাত মাসে সর্বোচ্চ। এ ছাড়া ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ১৫৬ কোটি ১২ লাখ মার্কিন ডলার। আর চলতি বছরের জানুয়ারিতে এসেছিল প্রায় ১৯৫ কোটি ৮৯ লাখ ডলার। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত জুলাইয়ে দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। এর পরের মাসে কিছুটা কমে আসে ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। এর পরের মাস সেপ্টেম্বরে এসে মাসের ব্যবধানে ৫০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স কম আসে। ওই মাসে মোট প্রবাসী আয়ের হিসাব দাঁড়ায় ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অক্টোবরে আরেক দফা কমে রেমিট্যান্স আসে ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ ডলার।

পরে নভেম্বরে এসে আবার ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করে বৈধ চ্যানেলে পাঠানো প্রবাসীদের আয়ের অঙ্ক। এ মাসে মোট রেমিট্যান্স আসে ১৫৯ কোটি ৫২ লাখ ডলার। আর বিদায়ী বছরের শেষ মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৬৯ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। নতুন বছরের প্রথম মাসে রেমিট্যান্সপ্রবাহে উত্থান দেখা দেয়, জানুয়ারিতে আসে ১৯৫ কোটি ৮৯ লাখ ডলার। কিন্তু পরের মাসেই আবার কমে যায় রেমিট্যান্স। 

রেমিট্যান্স বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। খাত সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, আসন্ন রমজান ও ঈদুল ফিতরের মতো ধর্মীয় উৎসব থাকায় প্রবাসী আয়ের পালে সুবাতাসই বইবে। কাজেই সামনে রেমিট্যান্স আরও বাড়বে বলে মনে করেন তারা।

 

বিএস/

আর্কাইভ