প্রকাশিত: মার্চ ২৯, ২০২৩, ০৬:১৫ পিএম
এবার রাজধানীর বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে আরও। গত ৫ দিনে কেজিতে ৫০ টাকা কমলেও গত ২ দিনে কমেছে আরও ২০ টাকা। কেজিতে ৭০ টাকা দাম কমে আজ মঙ্গলবার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। অন্য দিকে সোনালী মুরগি কেজিতে ৩০-৪০ টাকা কমে ৩৩০-৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, খামারি পর্যায়ে মুরগির দাম কমায় খুচরা পর্যায়েও দাম কমেছে।
আজ মঙ্গলবার ২৮ মার্চ রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও বাড্ডার বাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। রোজা শুরুর দেড়-দুই মাস আগে থেকেই অস্থির হয়ে উঠছিল মুরগির বাজার। যা রোজার দুই দিন আগে রেকর্ড দাম বেড়ে বিক্রি হয় ব্রয়লার মুরগি কেজি ২৭০ টাকা এবং সোনালী মুরগি কেজি ৩৮০ টাকায়। গত ২ মাসের ব্যবধানে কেজিতে ১২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে বিক্রি হচ্ছিল স্বল্প আয়ের মানুষের প্রোটিনের চাহিদা মেটানো এই ব্রয়লার মুরগির দাম। সোনালী মুরগির দামও কেজিতে ১০০ টাকার মতো বেড়ে বিক্রি হচ্ছিল।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দেশের শীর্ষস্থানীয় ৪টি বড় পোল্ট্রি কম্পানি খামার থেকে মুরগির দাম কমানোর পর খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। কাজী ফার্মস লিমিটেড, সিপি বাংলাদেশ, আফতাব বহুমুখী ফার্মস লিমিটেড এবং প্যারাগন পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি লিমিটেড নামের এ চারটি কম্পানি এখন প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করছে ১৯০ টাকার কমে। যার কারণে খুচরা পর্যায়ে মুরগির দাম কমতে শুরু হয়েছে।
ক্রেতাদের অভিযোগ, এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেটের কারণেই ব্রয়লার মুরগির বাজারে এ অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছিল। কারওয়ান বাজারের বাংলাদেশ চিকেন ব্রয়লার হাউসের ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন বলেন, ‘দাম কমে ব্রয়লার মুরগি কেজি ২০০ টাকা এবং সোনালী মুরগি কেজি ৩৪০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে বাজারে ব্রয়লার মুরগি কেজি ছিল ২৭০ টাকা, সোনালী মুরগির কেজি ছিল ৩৮০ টাকা।’
এ সময় ইব্রাহিম হোসেন নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘দাম বেড়ে ব্রয়লার মুরগি স্বল্প আয়ের মানুষের সামর্থের বাইরে চলে গিয়েছিল। এখন দাম অনেকটাই কমেছে। এতে স্বল্প আয়ের মানুষেরা বাজার করতে গিয়ে এখন কিছুটা স্বস্তি পাবে।’ ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে আরো কমার প্রয়োজন বলেও তিনি জানান।
/এএল