প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২৩, ০৫:৫৬ পিএম
-20230328055633.jpg)
আসন্ন ঈদুল ফিতরের ছুটিতে সড়ক, রেল ও লঞ্চযাত্রায় একই দিনে পোশাকশিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকের অতিরিক্ত চাপ কমাতে দু-তিন দিন আগেই তাদের ছুটি দিতে সদস্য কারখানার প্রতি নির্দেশনা দিয়েছে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
সোমবার (২৭ মার্চ) বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুরোধ জানিয়েছে সংগঠনটি। এতে বলা হয়, আগামী ২২ বা ২৩ এপ্রিল চাঁদ দেখা সাপেক্ষে পবিত্র ঈদুল ফিতর। সে হিসাবে পোশাক কারখানায় ২১ এপ্রিল (শুক্রবার) থেকে ঈদের ছুটি শুরু হবে। ঈদের ছুটিতে সড়ক, রেল ও লঞ্চযাত্রায় একই দিনে অতিরিক্ত শ্রমিকের চাপ কমাতে সরকারের বিভিন্ন দফতর থেকে ধাপে ধাপে পোশাক শ্রমিকদের ছুটি দেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। ফলে কারখানার কার্যাদেশ, শিপমেন্ট (পণ্য জাহাজীকরণ) ও উৎপাদনের সঙ্গে সমন্বয় করে সুযোগ থাকলে ঈদের ছুটির দু-তিন দিন আগে শ্রমিকদের ছুটি দেয়ার অনুরোধ করা যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে রমজান মাসে বিভিন্ন সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে শ্রমিকদের সাধারণ ডিউটি করিয়ে ঈদের বাড়তি ছুটি সমন্বয় করতে পারবে। শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্তটি নিতে বলেছে বিজিএমইএ।
শেষ কর্মদিবসে শ্রমিকদের নিরাপদে গ্রামের উদ্দেশে যাত্রা করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনে কারখানা কর্তৃপক্ষ ৮-১০ জনের দল গঠন করে স্থানীয় ট্রাফিক পুলিশের সহযোগিতা নিতে পারে।
বিজিএমইএর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, তৃতীয় কোনো পক্ষ শ্রমিক অসন্তোষ হওয়ার মতো ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করতে পারে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ হবে, এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে প্রয়োজনে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, কলকারখানা অধিদফতর অথবা বিজিএমইএর সঙ্গে আলোচনা করতে সদস্য প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ করেছে।
ছুটি নিয়ে বিভিন্ন নির্দেশনা দিলেও ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষকে কোনো নির্দেশনা দেয়নি বিজিএমইএ। অথচ প্রতিবছর দুই ঈদে শ্রমিকের বেতন-ভাতা পরিশোধ নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।
বিজিএমইএর সহ-সভাপতি শহীদউল্লাহ আজিম বলেন, ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের বিষয়টি নিয়মিত ঘটনা। সব কারখানার শ্রমিকের বেতন-ভাতা ঠিকঠাক দিচ্ছে কি না, সেটি তদারকিতে প্রতি বছরের মতো এবারও আমাদের বিশেষ টিম কাজ করবে।
এএল/
