• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

আর্জেন্টিনার সঙ্গে এমওইউ: তেল-গম আমদানি, তৈরি পোশাক রপ্তানির সুযোগ

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩, ০৯:০১ পিএম

আর্জেন্টিনার সঙ্গে এমওইউ: তেল-গম আমদানি, তৈরি পোশাক রপ্তানির সুযোগ

আজ মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো এমওইউতে সই করেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো এমওইউতে সই করেন। 
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আর্জেন্টিনা থেকে ভোজ্যতেল ও চিনি আমদানি হচ্ছে; আর সূর্যমুখী তেল ও গম আমদানির সুযোগ আছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক সেখানে রপ্তানি করা গেলে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে খাদ্য নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে ওঠেছে। আর্জেন্টিনা বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার এবং বিশ্বের প্রধান খাদ্য উৎপাদকারী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য আর্জেন্টিনা সম্ভাবনাময় দেশ। পণ্য ছাড়াও সেবা ও বিনিয়োগ খাতেও আর্জেন্টিনার সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আর্জেন্টিনার সাথে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার বন্ধন আরও জোরদার এবং বাণিজ্য সম্পর্ক গভীর করার উদ্দেশ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 


এতে আরও জানানো হয়, এ পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করা এবং উভয় দেশের জনগণের কল্যাণে তাদের নিজ নিজ অর্থনীতির অগ্রগতি সাধনে পারস্পরিক স্বার্থ সমুন্নত করার লক্ষ্যে দুই দেশের মধ্যে এমওইউ স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ফলে উভয় দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ অন্য দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বিনিময়ের উন্নয়ন ও বর্ধিত করার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
অনুষ্ঠানে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন। এ অর্জন বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি এবং বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টির পাশাপাশি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও তৈরি করবে। তখন উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের বিদ্যমান বাণিজ্য সুবিধা সংকুচিত হবে।
এসব সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংরক্ষণ, সম্প্রসারণ, বিভিন্ন দেশে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা নিশ্চিত করা এবং বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দেশ ও ট্রেড ব্লকের সাথে আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে সম্ভাবনাময় দক্ষিণ আমেরিকান দেশগুলো সফর করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব। এ অঞ্চলের বাণিজ্য জোট মার্কোসুরের সাথে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের লক্ষ্যে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

 

আরিয়ানএস/

অর্থ ও বাণিজ্য সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ