• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সাফল্যের গৌরবময় ২৫ বছরে ‘বাস্তব’

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৩, ০১:২৫ এএম

সাফল্যের গৌরবময় ২৫ বছরে ‘বাস্তব’

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বহু বছরের ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষণের ফলে উত্তরাধিকার সূত্রে বাংলাদেশের ললাটে জোটে শূন্যগর্ভ অর্থনীতি ও সীমাহীন দারিদ্র্য। সেই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা বা এনজিও খাত আত্মপ্রকাশ করে। 

এনজিও সংস্থাগুলো অবহেলিত, সুবিধাবঞ্চিত এবং তলানিতে পড়ে থাকা জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়ন ও দারিদ্র্য নিরসনে নানাবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করে। সেসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আশা অভূতপূর্ব কর্মোদ্যম, অঙ্গীকার ও কর্মনিষ্ঠা নিয়ে লাখ লাখ মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়। এমনই একটি স্বেচ্ছাসেবী উন্নয়ন সংস্থা বাস্তব। জমজমাট আয়োজনে ‘বাস্তব’ ইনিসিয়েটিভ ফর পিপলস সেলফ ডেভেলপমেন্ট রজতজয়ন্তী উদযাপন করা হয়েছে।  শানিবার,  ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর আগারগাঁও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে প্রতিষ্ঠানটির ২৫ বছর পুর্তি উপলক্ষে রজতজয়ন্তীর এক জমজমা্ট অনুষ্ঠিনের আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি । 

বাস্তব- জনগণের স্ব-উন্নয়নের উদ্যোগ হল একটি অলাভজনক, অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী উন্নয়ন সংস্থা। 
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ ফসিউল্লাহ (এক্সজিকিউটভ ভাইস চেয়াম্যান, মাইক্রোকেডিট  রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ), এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. মোঃ গোলাম সাদমানী ফকির ( উপাচার্য  গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ), মোঃ মসয়ূদ মান্নান (এনডিসি) রাষ্ট্রদূত,  মোঃ ফজলুল কাদের ( অতিরিক্ত পরিচালক- ১) পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন, ভাইস-চেয়ারপারসন- মিসেস শারমিন্দ নিলোর্মি ও রণজিৎ হালদার (প্রোগ্রাম পরিচালক)সহ অনেকে।
দেশের উন্নয়নে ‘বাস্তব’ ইনিসিয়েটিভ ফর পিপলস সেলফ ডেভেলপমেন্ট ৪ জুলাই, ১৯৯৭ সালে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সামাজিক কর্মীদের নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়। জনগণের স্ব-উন্নয়নের অলাভজনক, অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী উন্নয়ন সংস্থা এটি। প্রতিষ্ঠানটি এনজিও অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর সাথে নিবন্ধিত, জয়েন্ট স্টক কোম্পানির নিবন্ধিত এবং মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) -এর অধীনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সমিতি আইনের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। জনজীবনে উন্নয়ন, শান্তি ও সাফল্যের গৌরবময় ২৫ বছরে  রজতজয়ন্তী পালন করেছে প্রতিষ্ঠানটি ।
‘বাস্তব’ বাংলাদেশের ১১টি জেলা, ৪৫ টি উপজেলা, প্রায় ২০০টি ইউনিয়ন/পৌরসভা, ১৮০০টি গ্রাম/ওয়ার্ডে ৬৫ হাজার সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের সাথে তার ৬৫ টি শাখা অফিস এবং ৩৭০ জন কর্মী নিয়ে কাজ করছে।
তাদের নিরলশ কর্ম প্রচেষ্টায় ৬১ হাজার ৪৬ টি সুবিধাবঞ্চিত পরিবার বাস্তবের গৃহীত কর্মসূচির সুফল ভোগ করছে।

 

আরিয়ানএস/

আর্কাইভ