প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩, ০৬:৫৭ পিএম
চলতি সপ্তাহে নওগাঁর পাইকারি মোকামে সব ধরনের চালের দাম বস্তাপ্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছেন মিলাররা। ফলে খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। এক সপ্তাহ আগে ৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া প্রতি কেজি মোটা চাল এখন ৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর চিকন চাল ৭০ থেকে ৭৩ টাকায় কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
এক ক্রেতা বলেন, চালের বাজারে এত ঊর্ধ্বগতি যে আমাদের মতো সীমিত আয়ের মানুষের জন্য চলা খুব কঠিন।
খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, মিল থেকে বাজারে কম পরিমাণে চাল ছাড়া হচ্ছে। এতে বস্তাপ্রতি একশ থেকে দেড়শ টাকা বাড়তি দরে চাল কিনতে হচ্ছে তাদের।
এক ব্যবসায়ী বলেন, চালের দাম বস্তায় ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। দাম একবার বাড়লে আর কমে না।
নওগাঁর বাজারে গত সপ্তাহে প্রতি মণ স্বর্ণা-৫ জাতের চাল ২ হাজার ৪৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। চলতি সপ্তাহে এ চালের মণ ২ হাজার ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে জিরাশাইলের দাম ছিল ৩ হাজার ৪০০ টাকা, বর্তমানে দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫৫০ টাকায়। সপ্তাহ ব্যবধানে সম্পা কাটারির মণ ৩ হাজার ৬০০ টাকা থেকে বেড়ে ৩ হাজার ৭০০ টাকা দাঁড়িয়েছে। গুটি স্বর্ণার মণ ১০০ টাকা বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৫০০ টাকা ও পারিজা চালের দাম দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭০০ টাকায়।
তবে হাটে বেশি দরে ধান কেনায় চালের দাম বেশি বলে দাবি করছেন নওগাঁর অটো রাইস মিল সমিতির সভাপতি মো. তৌফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘আমরা চালের দাম ১ টাকা বাড়ালে খুচরা ব্যবসায়ীরা কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত বাড়ান। তা তো ঠিক নয়। সুতরাং এ জায়গায় কিন্তু একটা গ্যাপ পড়ে যায়। তাই সরকারের আসলে দেখা উচিত যে আমাদের সঙ্গে খুচরা বাজারের মিল নেই।’