• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ০৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

নীতি ছাড়, বাজারে বাড়লো সূচক ও লেনদেন

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩, ১০:১৮ পিএম

নীতি ছাড়, বাজারে বাড়লো সূচক ও লেনদেন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ ব্যাংক এবার শেয়ারবাজারের জন্য নতুন করে আরও একটি নীতি ছাড় দিল। আর এ নীতি ছাড়ের খবরে আজ বৃহস্পতিবার দেশের শেয়ারবাজারে কিছুটা গতি ফিরেছে। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক ও লেনদেন উভয়ই বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, দেশের ব্যাংকগুলো শেয়ারবাজারের ব্রোকারেজ হাউস, মার্চেন্ট ব্যাংক ও স্টল ডিলারদের যে ঋণ দিত, তার বিপরীতে এত দিন ২ শতাংশ হারে নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশনিং রাখতে হতো। এখন থেকে ২ শতাংশের বদলে ১ শতাংশ প্রভিশনিং রাখতে হবে ব্যাংকগুলোকে। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতে প্রভিশনিংয়ের হার কমানোর এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ব্যাংক ও শেয়ারবাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ নীতি ছাড়ের ফলে ব্যাংকগুলোর মুনাফায় ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। কারণ, শেয়ারবাজারে ঋণ দিয়ে তাদের এখন সেই ঋণের বিপরীতে আগের চেয়ে অর্ধেক প্রভিশনিং করতে হবে। পাশাপাশি এ ছাড়ের কারণে ব্যাংকগুলো শেয়ারবাজারসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও বেশি ঋণ দিতে আগ্রহী হয়ে উঠবে।

শেয়ারবাজারের ব্রোকারেজ হাউস, মার্চেন্ট ব্যাংক ও স্টক ডিলার প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে সরাসরি শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে। আবার অনেকে বিনিয়োগকারীদের ঋণ সুবিধা দিয়ে থাকে। এসব প্রতিষ্ঠানকে ব্যাংকগুলো যে ঋণ দেয়, তার বিপরীতে বছর শেষে নিরাপত্তা সঞ্চিতি রাখতে হয়। এখন সেখানে বড় ধরনের ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

শেয়ারবাজারে বেশ কিছুদিন ধরে একধরনের মন্দাভাব চলছে। এমন সময়ে এ সুবিধা বাজারে গতি ফেরাতে সহায়তা করবে বলে মনে করছেন শেয়ারবাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তারই তাৎক্ষণিক প্রভাব দেখা গেছে আজকের বাজারে। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এদিন প্রায় ১৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৯৫ পয়েন্টে। আর লেনদেন আগের দিনের চেয়ে ১০০ কোটি টাকার বেশি বেড়ে দাঁড়ায় ৬৮৭ কোটি টাকায়।

গত ১২ জুলাই নতুন গভর্নর হিসেবে আব্দুর রউফ তালুকদার যোগ দিয়ে গত আগস্টে প্রথম শেয়ারবাজারের জন্য বড় ধরনের নীতি ছাড় দেন। এতে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা বা এক্সপোজার লিমিটের হিসাব শেয়ারের ক্রয়মূল্যের ভিত্তিতে করার সুবিধা দেওয়া হয়। ওই নির্দেশনায় বলা হয়, ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১-এর ২৬ক উপধারা অনুযায়ী পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ধারণকৃত শেয়ারের ক্রয়মূল্যকে ‘বাজারমূল্য’ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। শেয়ার, করপোরেট বন্ড, ডিবেঞ্চার, মিউচুয়াল ফান্ড ও অন্যান্য পুঁজিবাজার নিদর্শনপত্রের বাজারমূল্য হিসাবায়নের ক্ষেত্রে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে। এখন শেয়ারবাজারে দেওয়া ব্যাংকের ঋণের প্রভিশনিংয়ের ক্ষেত্রেও বড় ধরনের ছাড় দেওয়া হলো।

আরিয়ানএস/

অর্থ ও বাণিজ্য সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ