প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২৩, ১০:২১ পিএম
রমজানে নিত্যপণ্যের বাজার স্বাভাবিক রাখতে যখন সরকার ও ব্যবসায়ী মহলে পরিকল্পনা চলছে, তখন ভোগ্যপণ্যের এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) স্বাভাবিক করতে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারের বিশেষ ব্যবস্থা করার তাগিদ দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
রমজান এলেই ডাল, চিনি, ছোলা, পেঁয়াজ, তেলসহ বেশ কয়েকটি পণ্যের চাহিদা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। অথচ হিসাব বলছে, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় চিনির আমদানি কমেছে ২৮ শতাংশ। অপরিশোধিত সয়াবিন ও পামতেলের আমদানি কম ৪৭ ও ৯৯ শতাংশ। ছোলা ৪৭ ও খেজুরের আমদানি কমেছে ৩০ শতাংশ।
এদিকে ভোগ্যপণ্যের বাজার ঠিক রাখতে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। তিনি বলেন, এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় উদ্যোগী বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে দরকারি ভোগ্যপণ্য আমদানিতে ব্যাংকে ডলার সরবরাহ করতে দফায় দফায় চিঠি দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংককে।
সচিব জানান, বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠিতে নিত্যপণ্যের আমদানিতে ২.৪ বিলিয়ন ডলারের ব্যবস্থা করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রমজানে তেল, চিনি, মসুরের ডাল, ছোলা ও খেজুরসহ চাহিদাসম্পন্ন পণ্যগুলো আমদানি অব্যাহত রাখার চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআর কাজ করে যাচ্ছে। এ ছাড়া বেসরকারি আমদানিকারকরাও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
এদিকে ডলার সংকট আমলে নিয়েই এলসি খোলার পরিকল্পনা সাজানোর তাগিদ অর্থনীতিবিদের। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ডলার ব্যয়ের নেতিবাচক দিক মাথায় রেখেই নিতে হবে এলসি খোলার ইতিবাচক সিদ্ধান্ত।
এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবীর বলেন, রমজানের জন্য ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ভিন্ন ধরনের কৌশল নিয়েছে। এ ছাড়া আমদানি প্রক্রিয়া স্বাভাবিক করতে ও সংকট মোকাবিলায় পরিকল্পনা জোরদার করতে আহ্বান জানান তিনি।
তবে রমজান উপলক্ষে আমদানি করা পণ্য যেন কোথাও মজুত না হয়, সে দিকেও কঠোর নজর রাখার তাগিদ তাদের।
সাজেদ/এএল