প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২৩, ০৮:৪৫ পিএম
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেছেন, জিনিসপত্র ও জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় দাম সমন্বয়ে যেতে হচ্ছে। তবে আশা রাখছি, বিইআরসি গ্রাহকপর্যায়ে বিদ্যুতের দাম সহনীয় রাখবে।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেবে, কী পরিমাণ দাম বাড়বে বিদ্যুতের। আশা রাখব, বিইআরসি দাম সহনীয় রাখবে। তবে দাম বাড়ানোর পরও বড় একটা অংশ ভর্তুকি সরকারকে দিতে হবে।
এ অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশের অকৃষি জমিকে (নন-অ্যাগ্রিকালচার ভূমি) নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কাজে ব্যবহার করতে চায় সরকার।
আর আগামী দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যে আরও দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে। তবে এ ক্ষেত্রে মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে গ্রিড স্থিতিশীল রাখা।
এ ছাড়া তিনি আরও বলেন, চলতি মাসেই তেলের দাম নিয়মিত সমন্বয়ের পলিসি তৈরি হবে।
আবাসিকে গ্যাস সংকট নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিল্পকারখানায় অগ্রাধিকার দিতে গিয়ে আবাসিকে গ্যাস সংকট হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার (৮ জানুয়ারি) গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের কারিগরি কমিটি। গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের ওপর শুনানি শুরু করে তারা। গণশুনানিতে অংশ নেয় পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি), বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি), ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো), ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ও নেসকো। তারা গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৫ দশমিক শূন্য ৮ থেকে ২৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাবের পক্ষে নানা যৌক্তিকতা তুলে ধরে।
এর আগে গত ২১ নভেম্বর পাইকারি পর্যায়ে বিতরণ কোম্পানির জন্য বিদ্যুতের দাম ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বাড়িয়ে দেয় বিইআরসি। এরপর খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়ে আবেদন করে ৫ প্রতিষ্ঠান। তাদের দাবি, পাইকারি পর্যায়ে বাড়ানোর পর খুচরায় বিদ্যুতের দাম না বাড়ালে তারা লোকসানের মুখে পড়বেন।
সবশেষ ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছিল সরকার।
সাজেদ/