• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

পোশাক খাতের নতুন বাজার অর্ডারও পেয়েছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২২, ১০:২৩ পিএম

পোশাক খাতের নতুন বাজার অর্ডারও পেয়েছে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পোশাক খাতে নতুন একটি রাষ্ট্র থেকে অর্ডার পেয়েছে বাংলাদেশ। এতে ওই রাষ্ট্রটির সঙ্গে বাংলাদেশের নেটওয়ার্ক সৃষ্টি হয়েছে।

আগামী ২০৩০ সালে দেশের পোশাক শিল্পের রপ্তানি ১০০ বিলিয়ন হবে।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘মেড ইন বাংলাদেশ উইক’ আয়োজনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারী ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান।

তিনি বলেন, এবারের মেড ইন বাংলাদেশ উইক আয়োজনে আমরা নতুন ক্রেতা পেয়েছি। তারা শুধু আসেইনি, অর্ডারও দিয়ে গেছে। তাদের সঙ্গে আমাদের একটা নেটওয়ার্কও হয়েছে। তারা নতুন প্রোডাক্ট কি চায়, সেটি জানতে আমরা দেশটির প্রতিনিধিদের অনুষ্ঠানে এনেছি। ফ্যাক্টরিতেও নিয়ে গিয়েছি। তাদের দেখানো হয়েছে আমরা কী এবং কীভাবে উৎপাদন করি। আমাদের মূল উদ্দেশ্যেই ছিল নেটওয়ার্কিং করা।

নতুন যে রাষ্ট্রটি বাংলাদেশের পোশাক খাতে অর্ডার দিয়েছে সেটি ইরাক।

ফারুক হাসান বলেন, পোশাক খাতে গ্যাস ও বিদ্যুতের সমস্যা তৈরি হয়েছিল। শিল্প উদ্যোক্তা, বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্প উদ্যোক্তারা এ নিয়ে শঙ্কার মধ্যে ছিলেন। তবে আশার কথা হলো পোশাক কারখানায় বিদ্যুতের সমস্যা দূর হয়েছে। কারখানায় উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে।

বিজিএমইএ সভাপতি আরও বলেন, আমাদের ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে পণ্য রপ্তানিতে যে সমস্যা হয়েছিল তার সমাধান হয়েছে। ঢাকা বিমানবন্দরে স্ক্যানিং মেশিন জটিলতায় পড়তে হয়েছে একটা সময়। এখন চারটি স্ক্যানার মেশিন বসানো হয়েছে। এখন প্রায় সময়ই স্ক্যানারগুলো অলস পড়ে থাকে। রপ্তানির ক্ষেত্রে ঢাকা বিমানবন্দরেও আর কোনো জটিলতা নেই।

আমরা চাচ্ছি আমাদের যতটুকু মার্কেট, সেটারই প্রপার ইউটিলাইজ করতে। এ জন্য আমরা মেগা ইভেন্টটির আয়োজন করি। আমরা চাচ্ছি আমাদের যে জিএসপি সুবিধা আছে বর্তমানে, সেটা কীভাবে আরও বাড়াতে পারি। সে চেষ্টাও আমাদের আছে।

আমাদের উদ্দেশ্য ছিল ব্র্যান্ড, সাপ্লাইয়ার ও স্টেকহোল্ডারদের কাছে আমাদের পণ্য তুলে ধরা। কীভাবে আমরা আমাদের দেশকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরব, সেটাও আমাদের উদ্দেশ্য ছিল। ২০৩০ সালে পোশাক শিল্পের রপ্তানি ১০০ বিলিয়ন হবে। আমাদের মার্কেট শেয়ার এক সময় ২ থেকে তিন শতাংশ ছিল। ধীরে ধীরে এটা আমরা ১৪ শতাংশ পর্যন্ত করতে পারব। এজন্য আমাদের ভ্যাট, কাস্টমস, বন্ড ইত্যাদি সহজ করার দাবি জানাই। বিদ্যুতের সমস্যা কেটে গেছে। কিন্তু গ্যাস নিয়ে আমরা কষ্ট পাচ্ছি। আশা করছি আগামী দিনে এটাও সমাধান হবে।

সম্প্রতি শেষ হওয়া মেড ইন উইক নিয়ে ফারুক বলেন, গত ১২ থেকে ১৮ নভেম্বর আমরা বিজিএমইএ’র ইতিহাসে প্রথম বারের মতো ৭ দিনব্যাপী মেগা ইভেন্ট উদযাপন করেছি। এই ইভেন্টের থিম ছিল কেয়ার ফর ফ্যাশন। সপ্তাহব্যাপী এ আয়োজনে সামিট, এক্সপোজিশন, ফটো এক্সিবিশন, কনফারেন্স, ফ্যাশন ইনোভেশন রানওয়ে শো, সাসটেইনেবল ডিজাইন ও ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড, ফ্যাশন ফটোগ্রাফি অ্যাওয়ার্ড, ফ্যাক্টরি ট্যুর, আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের ভ্রমণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং নেটওয়ার্কিং ডিনারসহ মোট ১৭টি কর্মসূচি ছিল।

ইভেন্টের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল তিনটি। এক. পোশাক শিল্পকে ও সামগ্রিক বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করা; বিশেষ করে শিল্পের যে প্রকৃত রূপান্তর ঘটেছে তা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরার মাধ্যমে শিল্পের ব্র্যান্ডিং করা। দুই. রূপকল্প ২০৩০ বাস্তবায়নের জন্য প্রধান কৌশলগত লক্ষ্যগুলো চিহ্নিত করে শিল্পের জন্য একটি টেকসই রোডম্যাপ তৈরিতে শিল্পের সকল অংশীজনদের সম্পৃক্ত করে এ ব্যাপারে তাদের মতামত নেওয়া। ও তিন. সরকার, ব্র্যান্ড/ক্রেতা, বিভিন্ন সাপ্লায়ার (টেকনোলজি, মেশিন, এক্সসরিজ সরবরাহকারী), শিল্প সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে নেটওয়ার্কিং করা।

সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএর পরিচালনা পর্ষদসহ পোশাকখাতের উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আইএ/

আর্কাইভ