• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিগগির স্বাভাবিক হবে গমের বাজার : বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২২, ১০:২৮ পিএম

শিগগির স্বাভাবিক হবে গমের বাজার : বাণিজ্যমন্ত্রী

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে গমের বাজার শিগগির স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, ‘গমের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। ইউক্রেন-রাশিয়া থেকে গম আমদানি বন্ধ হওয়ার পর কানাডাসহ অন্যান্য দেশ থেকে ব্যবসায়ীরা গম আনা শুরু করেছেন। আমাদের এক বড় ব্যবসায়ী বললেন তার একটি জাহাজ তুরস্কে আটকে ছিল। সেটা এরইমধ্যে রওনা হয়েছে। সেখানে ৫৫ হাজার টন গম রয়েছে। অর্থাৎ গমের সরবরাহ বা সাপ্লাই ঠিক হয়ে যাবে।’

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের চতুর্থ সভায় সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রী। সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তবে ইউক্রেন হলো আমাদের প্রধান (গম) সরবরাহকারী দেশ। সেখান থেকে আনতে পারলে গমের বাজার স্থিতিশীল হবে। তবে এখন দাম বেশি পড়লেও দেশের ঘাটতি মেটাতে কানাডা থেকে আনার চেষ্টা করছি। অনেক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন তাদের যা প্রয়োজন তা তারা আনতে পারবেন।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের যে পরিমাণ গম আমদানির কথা ছিল সেখানে একটু ঘাটতি দেখছি। ইউক্রেন-রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিলে গম সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। তবে আমাদের ব্যবসায়ীরা এই বাজারে সমস্যার জন্য অন্য বাজার থেকে গম কেনা শুরু করেছেন। যদিও দাম একটু বেশি পড়ছে। কানাডা থেকে আসছে, তাদের মানও ভালে। এই বাজারটা স্বাভাবিক হলে আমাদের কোনো সমস্যা থাকবে না।’

গত দুই-তিন দিনে ডালের দাম কেজিতে প্রায় ১০ টাকা বেড়েছে। এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে টিপু মুনশি বলেন, ‘আমরা এখন টিসিবির মাধ্যমে নির্ধারিত দামেই ডাল দিচ্ছি। তবে ডালের সরবরাহ কিছুটা কমেছে। সে কারণে হয়তো দাম কিছুটা বাড়তে পারে। ট্যারিফ কমিশন এ বিষয়ে দেখবে। ব্যবসায়ীরা যে দামটা বাড়িয়েছেন সেটা যৌক্তিক কি না সেটা তারা দেখবে। বিশ্ববাজারে দাম বাড়ার কারণে সে প্রভাবটা এখানে এসে পড়েছে।’

সভায় রড-সিমেন্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের আরও একটু বিষয়ের গভীরে যেতে হবে। বিশ্ববাজারে দাম কমার ফলে আমাদের যে সুবিধা পাওয়ার কথা ছিল, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে সে সুবিধা পাচ্ছি না। এখন ডলারের দাম যদি কমে তাহলে আমরা ভোক্তাদের সে সুবিধা দিতে পারবো। সব মিলিয়ে চলমান অবস্থায় আমাদের ঘাবড়ানোর কিছু নেই। খাদ্যের যে উৎপাদন তাতে কোনো সমস্যা হবে না। মানুষের মূল ফোকাস থাকে খাদ্যে, সেটা ঠিক থাকলে কোনো সমস্যা হয় না। অন্যদিকে আপস করা যায় কিন্তু খাদ্যে আপস করা যায় না।’

যানবাহনে যে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে সেটা বন্ধ করে শিল্প খাতে দেওয়ার কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে টিপু মুনশি বলেন, ‘আজকের আলোচনায় এ কথাগুলো এসেছে যে পরিবহন খাতে কমিয়ে যদি এখাতে বাড়ানো যায়। এ বিসয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বিবেচনায় নেবে। এটা আমাদের দেখার প্রয়োজন নেই। তবে আমি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একমত যে গাড়িতে যতটা প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে গ্যাস সরবরাহ নিয়ে, এখন যেটা বেসিক রিকোয়ারমেন্টের জন্য প্রয়োজন (সেখানেই সরবরাহ করা দরকার)। যদি বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে যায় তাহলেতো কোনো সমস্যাই নেই। বিদ্যুতের অবস্থা উন্নতি হচ্ছে। তবে ব্যবসায়ীদের দাবির বিষয়ে আমরা তাদেরকে জানাবো।’

 

এআরআই

আর্কাইভ