প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২২, ০৯:১২ পিএম
অর্থনীতির দুরবস্থা কাটাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ঋণ নেওয়া চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো জানায়, বাংলাদেশ আইএমএফ থেকে চায় ৪৫০ কোটি ডলার। চলতি মাসে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বার্ষিক সভা চলাকালে অনুষ্ঠিত আইএমএফের সঙ্গে যে বৈঠক হয়েছে, তাতেই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে বাংলাদেশকে সংস্থাটি শর্তসাপেক্ষে ঋণ দেবে। তবে আইএমএফ চায় সঞ্চয়পত্রের সুদের হার আরও কমিয়ে আনুক বাংলাদেশ এবং এ হার অন্তত বাজারদরের কাছাকাছি থাকুক।
আইএমএফের ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির এশীয় ও প্যাসিফিক বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দ। এর আগে ঋণ চেয়ে গত জুলাইয়ে আইএমএফের কাছে যে চিঠি পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ, সে ব্যাপারে আলোচনা করতেই দলটি এখন ঢাকায়।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে সফররত আইএমএফের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের তিনটি আলাদা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠক শেষে অর্থসচিব ফাতিমা ইয়াসমিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আইএমএফ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রথম বৈঠক এটি। ঋণ পাওয়ার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। বৈঠক আরও হবে।’
বর্তমানে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার নিয়ে ১১ মাস আগে থেকে তিনটি স্তর চালু রয়েছে। সে অনুযায়ী কম টাকা বিনিয়োগকারীরা বেশি সুদ পাচ্ছেন, আর বেশি টাকা বিনিয়োগকারীরা পাচ্ছেন কম সুদ। তারপরও বর্তমান হার বাজারদরের চেয়ে বেশি বলে মনে করছে আইএমএফ।
বৈঠকে বন্ডের সুদের হারসহ বন্ডবাজারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়েও জানতে চেয়েছে আইএমএফের দল। ২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বেরিয়ে যাবে। এতে বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ঋণের সুদ বাড়বে। সেসব ঋণের মূল টাকা ও সুদ কীভাবে পরিশোধ করা হবে—এসব বিষয় নিয়েও দলটি অর্থ বিভাগের কাছে প্রশ্ন করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) বৈঠক হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে। এরপর একে একে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনসহ (বিইআরসি) বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে বৈঠক করবে আইএমএফ। দলটির সঙ্গে আগামী ৯ নভেম্বর শেষ বৈঠক হবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের।
এসএএস