• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ডেটলাইন: ১৬ অক্টোবর

চাপের কারণে কিছু গ্রাহকের টাকা ফেরত দিতে পারেন মঞ্জুর আলম

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২২, ১২:০৯ এএম

চাপের কারণে কিছু গ্রাহকের টাকা ফেরত দিতে পারেন মঞ্জুর আলম

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভঙ্গ করলেও ১৬ অক্টোবর কিছু গ্রাহকের টাকা দিতে পারে আলেশা মার্ট। এ জন্য সংক্ষিপ্ত একটি তালিকা করেছেন আলেশা মার্ট প্রধান। তালিকায় মাঠ পর্যায়ের সে রকম কারো নাম না থাকলেই সুপারিশপ্রাপ্ত গ্রাহকদের অর্থ ফেরত দেয়া হতে পারে। আলেশা মার্টের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গত কয়েকদিন ধরে আলেশা মার্টের প্রতারিত গ্রাহকরা বিভিন্ন দফতর এবং মঞ্জুর আলম শিকদারের অফিস ও গুলশানের বাসার পাশ দিয়ে ঘুরঘুর করছেন। তারা জানার চেষ্টা করছেন তাদের দায়ের করা মামলার পর নাটকীয় এই আসামি ঠিক কোথায় অবস্থান করছেন।

জানা যায়, মঞ্জুর আলম শিকদার বর্তমানে ঘনঘন তার অবস্থান পাল্টাচ্ছেন। তবে আগের লাইভের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাকে ১৬ অক্টোবর গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে হবে। সে অনুযায়ী যে তালিকা করা হয়েছে তাতে করে হাতেগোনা কিছু গ্রাহক হয়তো টাকা পাবেন। এ তালিকায় যারা টাকা ফেরত পেতে পারেন তারা বিভিন্ন মহল থেকে চাপ দিয়ে মঞ্জুর আলম শিকদারের কাছ থেকে তাদের প্রাপ্য বুঝে নেয়ার চেষ্টা করছেন।

মঞ্জুর আলম শিকদার গোপনে কিছু গ্রাহকের টাকা ফেরতও দিচ্ছেন। বিশেষ করে ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে এমন সব ফোনকলের পর কিছু গ্রাহকের অর্থ ফেরত দেয়া হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মঞ্জুর আলম শিকদার গোপনে কিছু গ্রাহকের টাকা ফেরতও দিচ্ছেন। বিশেষ করে ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে এমন সব ফোনকলের পর কিছু গ্রাহকের অর্থ ফেরত দেয়া হচ্ছে।

পুলিশের এডিশনাল এসপি মর্যাদার এক কর্মকর্তা সিটি নিউজ ঢাকাকে জানান, তার ভাই একটি-দুটি নয়, ১৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল অর্ডার করেছিলেন। কিন্তু আলেশা মার্ট তাকে কোনো অর্ডারের পণ্য দেয়নি ।

তিনি জানান, এ রকম অনেকে লোভনীয় অফারের ফাঁদে একাধিক কিংবা তার বেশি সংখ্যক মোটরসাইকেল অর্ডার করে ফাঁদে পড়েছেন।

একজন গ্রাহক বলেন, মঞ্জুর আলম শিকদার অন্তত ৩৪ দফায় ফেসবুক লাইভে আসেন। যতবার তিনি লাইভে এসেছিলেন টাকা দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান।

এবার ১৬ অক্টোবর টাকা দেয়ার তারিখ ধার্য্য করেছেন। টাকা না পেলে এবার আন্দোলনে নেমে তার গ্রেফতার তরান্বিত করা হবে বলে জানান প্রতারিত ওই গ্রাহক।

‘বেশ কয়েকবার লাইভে টাকা দেয়ার কথা জানান তিনি। কিন্তু এখনো দেননি। ১৬ তারিখ টাকা দিবে বলছেন। এবার না দিলে আমাদের কেউ থামিয়ে রাখতে পারবে না। আন্দোলনে নেমে মঞ্জুর আলমকে আলিশান বাড়ি থেকে সোজা শ্রীঘরে পাঠাবো।’ - প্রতারিত গ্রাহক সাগর

আরেকজন গ্রাহক জানান, টাকা দেয়ার নামে মঞ্জুর আলম শিকদার এবার কী নাটক সাজাবেন তা দেখার অপেক্ষায় আছেন তারা। এবার তাকে কোনোভাবে ছাড় দেয়া হবে না বলেও জানান ওই গ্রাহক।

সাগর নামের এক প্রতারিত গ্রাহক বলেন, ‘বেশ কয়েকবার লাইভে টাকা দেয়ার কথা জানান তিনি। কিন্তু এখনো দেননি। ১৬ তারিখ টাকা দিবে বলছেন। এবার না দিলে আমাদের কেউ থামিয়ে রাখতে পারবে না। আন্দোলনে নেমে মঞ্জুর আলমকে আলিশান বাড়ি থেকে সোজা শ্রীঘরে পাঠাবো।’

মনির নামক এক গ্রাহক বলেন, ‘আর দুইদিন। এরপর মঞ্জুর আলমের ভাগ্য নির্ধারণ হবে। টাকা ফেরত দিলে ভালো। না হয় জেলের ভিতর পঁচে মরতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা না নিলে প্রয়োজনে আমরাই ব্যবস্থা নিবো।’

‘অপেক্ষা করে যাচ্ছি। এখনো মামলা করিনি। ১৬ তারিখ টাকা না পেলে আর অপেক্ষা করবো না। প্রয়োজনে আদালতে মামলা করবো।’ - প্রতারিত গ্রাহক নাজমুল হাসান

নাজমুল হাসান নামে আরেক গ্রাহক বলেন, ‘অপেক্ষা করে যাচ্ছি। এখনও মামলা করিনি। ১৬ তারিখ টাকা না পেলে আর অপেক্ষা করবো না। প্রয়োজনে আদালতে মামলা করবো।’

আলেশা মার্ট প্রধানের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেয়ার ডেটলাইন হচ্ছে ১৬ অক্টোবর। বিষয়টি জানার জন্য মঞ্জুর আলম শিকদারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এসএমএস বার্তা পাঠানো হলেও তার উত্তর মেলেনি।

 

এআরআই

আর্কাইভ