• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

প্রতারণার উদ্দেশ্যেই সৃষ্টি আলেশা মার্ট!

প্রকাশিত: অক্টোবর ১১, ২০২২, ০৪:৫৪ এএম

প্রতারণার উদ্দেশ্যেই সৃষ্টি আলেশা মার্ট!

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজাজ কোম্পানির পালসার ব্রান্ডের ডাবল ডিস্ক মোটরসাইকেল। যার তৎকালীন বাজারমূল্য ১ লাখ ৮০ হাজার ৯শ টাকা। বর্তমান বাজারমূল্য ২ লাখ ৫ হাজার টাকা। আলেশা মার্ট সেই মোটরসাইকেল অফার করে ৩৫% ডিসকাউন্ডে মাত্র ১ লাখ ১৮ হাজার টাকায়। যা তৎকালীন বাজারমূল্যের চেয়ে প্রায় ৬২ হাজার টাকা কম। শর্ত শুধু একটাই- টাকা পরিশোধের ৪৫ দিন পর দেয়া হবে বাইকের ডেলিভারি।

বাংলাদেশে ইয়ামাহার ভার্সন-৩ ব্র্যান্ডের ১৫০ সিসির একটি মোটরসাইকেলের তৎকালীন খুচরা মূল্য ছিল ২ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। জাপানের এই বাইক ৩৫ শতাংশ ডিসকাউন্ট অফারে ১ লাখ ৮২ হাজার টাকায় দিয়েছিল আলেশা মার্ট।

এত কম দামে কি আদৌ মোটরসাইকেল বিক্রি করা সম্ভব? এক বাক্যে উত্তর- অবশ্যই না। আলেশা মার্ট প্রধান মঞ্জুর আলম শিকদারের উদ্দেশ্যই ছিল লোভনীয় অফার দিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে একটা মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়া, পণ্য ডেলিভারি দেয়া নয়। তিনি সেটা করেছেন এবং রীতিমতো সফলও হয়েছেন।

গ্রাহকদের আস্থা অর্জনের জন্য প্রথম দিকে লোকসান দিয়ে কিছু বাইক ডেলিভারি দেয় আলেশা মার্ট। এরপর শুরু হয় প্রতারণা। এবার এক লটে দুই ব্রান্ডের ৪৬ হাজার মোটরসাইকেল বিক্রির ঘোষণা দেয় প্রতিষ্ঠানটি। ৪৬ হাজার বাইকের জন্য ৬৫৮ কোটি টাকা আসে গ্রাহকদের কাছ থেকে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার করা চমকপ্রদ এই বিজ্ঞাপনে নজর কাড়ে সাধারণ মানুষের। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার শোরুমগুলোতে কমে যায় বাইকের বিক্রি। আলেশা মার্টে কম দামে বাইক পাওয়ার আশায় বিনিয়োগ করতে থাকে লোকজন। কেউবা নিজের ব্যবহারের জন্য আবার কেউবা ব্যবসার উদ্দেশ্যে।

গ্রাহকদের আস্থা অর্জনের জন্য প্রথম দিকে লোকসান দিয়ে কিছু বাইক ডেলিভারি দেয় আলেশা মার্ট। এরপর শুরু হয় প্রতারণা। এবার এক লটে দুই ব্রান্ডের ৪৬ হাজার মোটরসাইকেল বিক্রির ঘোষণা দেয় প্রতিষ্ঠানটি। ৪৬ হাজার বাইকের জন্য ৬৫৮ কোটি টাকা আসে গ্রাহকদের কাছ থেকে।

কিন্তু বাজাজ পালসার ১৫০ সিসির বাইকে তৎকালীন বাজারমূল্য থেকে ৬২ হাজার টাকা কমে বিক্রি করে ২৮ হাজার বাইকে আলেশা মার্টের দৃশ্যত লোকসান ১৭৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আর তৎকালীন খুচরা মূল্যের চেয়ে ৯৭ হাজার টাকা কমে বিক্রি করে ইয়ামাহা ভার্সন-৩ বাইকে আলেশা মার্টের দৃশ্যত লোকসান ১৮ হাজার বাইকে ১৭৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা। দুটো মিলে মোট লোকসান ৩৪৮ কোটি ২০ লাখ টাকা।

তাহলে এ ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে ব্যবসা হবে কীভাবে আর এত লোকসানই বা কেন? এর একটা সহজ উত্তর- প্রতারণা। গ্রাহকদের কাছ থেকে ৬৫৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর যদি কোনো বাইক ডেলিভারি না দেয়া যায় তাহলে তো পুরোটাই লাভ! লোকসানের তো নাম গন্ধই নেই। হ্যাঁ ঠিক এমনটাই করেছেন প্রতারক মঞ্জুর আলম শিকদার।

এত লোকসান দিলে ব্যবসা হবে কীভাবে? সেই সময়ে এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল আলেশা মার্ট প্রধান মঞ্জুর আলম শিকদারকে। তিনি বিষয়টি নিয়ে দুটি বক্তব্য দিয়েছিলেন- প্রথম তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা পালসার বাইকের জন্য গ্রাহক থেকে নিচ্ছি ১ লাখ ১৮ হাজার টাকা। এই বাইক কেনা পড়ে ১ লাখ ১২ হাজার টাকা।’

তার এই কথার সূত্র ধরে অনুসন্ধান শুরু হয়। জানা যায়, বাংলাদেশে ভারতের বাজাজের মোটরসাইকেল আমদানিকারক ও পরিবেশক উত্তরা মোটরস। আর এসকে ট্রেডার্স তাদের কাছ থেকে পাইকারিতে মোটরসাইকেল কেনে। এই এসকে ট্রেডার্সের সঙ্গেই পালসার মডেলের বাইক কেনার চুক্তি করেছে আলেশা মার্ট।

বিষয়টি জানতে চাইলে এসকে ট্রেডার্সের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা নিজেরাই তৃতীয় পক্ষের কাছ থেকে পাইকারিতে কিনে বিক্রি করে এসব মোটরসাইকেল। আলেশা মার্টকে তারা ১ লাখ ১২ হাজার টাকা দরে বাইক দেয়নি; মিথ্যা বলেছে আলেশা মার্ট। এই বাইকের খুচরা মূল্য ১ লাখ ৮০ হাজার ৯শ টাকা। আলেশা মার্টকে তারা কিছু টাকা ছাড় দেয় পাইকারি ক্রেতা হিসেবে। এর বাইরে আর কোনো চুক্তি নেই।

তবে চুক্তির বিষয়টি অস্বীকার করে এসকে ট্রেডার্স। এ বিষয়ে এসকে ট্রেডার্সের অ্যাকাউন্টস ম্যানেজার মো. ফরিদ হোসাইন সিটি নিউজ ঢাকাকে বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে আলেশা মার্টের কোনো প্রকার চুক্তি হয়নি। এমনকি আমাদের কাছ থেকে ১ লাখ ১২ হাজার টাকা দিয়ে মোটরসাইকেল কেনার দাবিটি সম্পন্ন ভিত্তিহীন। আলেশা মার্ট আমাদের কাছে ক্রেতা হিসেবে মোটরসাইকেল কিনতো। আমরা বিক্রেতা হিসেবে দিতাম। যে কেউ আসলেই আমরা এমনটা করে থাকি।’

‘বাইক বিশেষে আমরা একেকটা বাইকে ৫ থেকে ৮ হাজার টাকা লাভ পাই। সেখানে আবার শোরুম-সার্ভিস সেন্টার ভাড়া এবং কর্মচারীদের বেতন রয়েছে। সে ক্ষেত্রে লোকসান দিয়ে বিক্রির প্রশ্নই উঠে না।’

তিনি বলেন, ‘বলা চলে- আমরা আলেশা মার্টের সাপ্লায়ার ছিলাম। যেহেতু আলেশা মার্ট অনেকগুলো বাইক নিয়েছে সে কারণে তাদেরকে বাইক প্রতি ২-৩ হাজার টাকা করে ছাড় দিতাম। এর বেশি না।’

ফরিদ বলেন, ‘বাইক বিশেষে আমরা একেকটা বাইকে ৫ থেকে ৮ হাজার টাকা লাভ পাই। সেখানে আবার শোরুম-সার্ভিস সেন্টার ভাড়া এবং কর্মচারীদের বেতন রয়েছে। সে ক্ষেত্রে লোকসান দিয়ে বিক্রির প্রশ্নই উঠে না। মঞ্জুর সাহেব আমাদের নিকট থেকে এমআরপি রেট থেকে ন্যূনতম একটা ছাড় পেতেন। কিন্তু তিনি কততে বিক্রি করতেন, কিংবা কোন পলিসি ম্যানটেইন করতেন তা আমাদের জানা নেই।’

এসব বিষয় নিয়ে আবার কথা হয় আলেশা মার্ট প্রধান মঞ্জুর আলমের সঙ্গে। এত লোকসান দিয়ে কীভাবে ব্যবসা করছেন? আবারও এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা এক পণ্যে লোকসান করলেও অন্যান্য পণ্য দিয়ে পুষিয়ে নিতে পারি।‍‍` তবে অনুসন্ধান বলছে, এই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটি এ পর্যন্ত যত পণ্যই বিক্রি করেছে তার সবকটিতেই ছিল লোভনীয় ও আকর্ষণীয় অফার। সব পণ্যই তারা বিক্রি করেছে বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে। প্রতি পণ্যতেই ছিল লোকসান। তাহলে লাভ করছে কীভাবে?

ব্যবসা নয় প্রতারণার উদ্দেশ্যেই আলেশা মার্ট সৃষ্টি করেছিলেন মঞ্জুর আলম। মূলত লোভনীয় অফার দিয়ে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করেছিলেন তিনি। মানুষ ঠকানোর ছক জেনে বুঝেই এঁকেছিলেন তিনি।

এর থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, ব্যবসা নয় প্রতারণার উদ্দেশ্যেই আলেশা মার্ট সৃষ্টি করেছিলেন মঞ্জুর আলম। মূলত লোভনীয় অফার দিয়ে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করেছিলেন তিনি। মানুষ ঠকানোর ছক জেনে বুঝেই এঁকেছিলেন তিনি। এক একটি বাইক বাজার মূল্য থেকে প্রায় ৬২ হাজার হাজার টাকা লোকসানে বিক্রির অফার দিয়ে কোন ব্যবসা করতে চেয়েছিলেন তিনি তা সহজেই অনুমেয়! 

মঞ্জুরুল আলমের ভাবনাতেই ছিল- পণ্যের দামে বিশাল পার্থক্য দেখে মানুষ এই ফাঁদে পা দিবে। আর তিনি সমস্ত টাকা হাতিয়ে নিয়ে দেশ ছেড়ে চলে যাবেন। কোনো পণ্য সরবরাহ করার উদ্দেশ্য তার কখনোই ছিল না। প্রথম দিকে যা কিছু সরবরাহ করেছেন তা শুধুমাত্র গ্রাহকদের আস্থা অর্জনের জন্য।

পুরো ঘটনাটাই ঘটে আলেশা মার্ট প্রধানের প্ল্যান অনুযায়ী। এই লোভনীয় অফার লুফে নেয় সাধারণ মানুষ। পা দেয় মঞ্জুর আলমের পাতানো ফাঁদে। আর তাতেই ঝুঁকির মুখে পরে নিজেদের বিনিয়োগকৃত অর্থ।

ভারতের ১৫০ সিসির ডাবল ডিস্কের বাজাজ ব্র্যান্ডের পালসার বাংলাদেশে আনতে কত খরচ পড়ে তা জানতে কথা হয় আমদানিকারক ও পরিবেশক উত্তরা মোটরসের সঙ্গে। মতিউর রহমান নামে তাদের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশে এই বাইক আনতে এই দামের সঙ্গে ৪৫ শতাংশ ভ্যাট-ট্যাক্স যোগ হয়। সে ক্ষেত্রে বাইকটি বাংলাদেশে আনতে খরচ হয় ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।‍‍`

কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাংলাদেশে এখন বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানি করে মোটরসাইকেল অ্যাসেম্বল করা হয়। এসব যন্ত্রাংশ আনতে সব মিলে কর দিতে হয় ৫৮ শতাংশ। আর প্রস্তুতকৃত বাইক আনতে কর দিতে হয় ১৫০ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে ১ লাখ টাকার একটা মোটরসাইকেলের যন্ত্রাংশ ৫৮ শতাংশ করে এনে সেটি প্রস্তুত করতে খরচ পড়ে ১ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। আর প্রস্তুতকৃত মোটরসাইকেলে ১৫০ শতাংশ করের হিসাবে খরচ পড়ে আড়াই লাখ টাকা।

ই-কমার্স খাত। নতুন প্রজন্মের অনলাইন প্লাটফর্ম। বর্তমান তথ্য বিপ্লবের এই যুগে সাধারণের কাছে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছিল এই খাতটি। অনলাইন কেনাকাটায় আস্থা রাখতে শুরু করেছিল দেশের শিক্ষিত জনগোষ্ঠি। কিন্তু কিছু মুখোশধারী প্রতারকের কারণে সম্ভাবনাময় এই খাতে বিরাজ করছে চরম অস্থিরতা। এই মুখোশধারীদের চরম নৈরাজ্য আর প্রতারণার কারণে ই-কমার্সের প্রতি আস্থা হারাচ্ছেন গ্রাহকরা। ই-কমার্সের নামে প্রতারণার জাল বিস্তার করে গ্রাহকদের কাছ থেকে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এই প্রতারকরা।

এই মুখোশধারীদের চরম নৈরাজ্য আর প্রতারণার কারণে ই-কমার্সের প্রতি আস্থা হারাচ্ছেন গ্রাহকরা। ই-কমার্সের নামে প্রতারণার জাল বিস্তার করে গ্রাহকদের কাছ থেকে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এই প্রতারকরা।

তাদের একজন মো. মঞ্জুর আলম শিকদার। আলেশা মার্ট লি. নামক একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান। অতি বিচক্ষণ ব্যবসায়ী। ঠিক মোক্ষম সময়ে অবৈধ উপায়ে ছক্কা হাকান তিনি। আলেশা মার্টের ক্ষেত্রেও তিনি বেঁছে নেন উপযুক্ত সময়। তবে ব্যবসার উদ্দেশ্যে নয়, পুরোপুরি প্রতারণার উদ্দেশ্যে।

বিষয়টি নিয়ে কথা হয় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ই-কমার্স হচ্ছে নতুন প্রজন্মের একটি প্লাটফর্ম। ডিজিটাল বাংলাদেশের কনসেপ্ট অনুযায়ী গ্রাহকের দোরগোড়ায় পণ্য পৌঁছে দেয়ার কাজটি করে এই মাধ্যম। তবে কেউ যদি এই প্লাটফর্ম ব্যবহার করে প্রতারণার জাল বিস্তার করে সেটা অবশ্যই শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’

কেউ যদি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে সম্পর্ক জাহির করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ই-কমার্সের নামে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণায় জড়িতরা কোনো অবস্থায় ছাড় পাবে না। আর কেউ যদি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে সম্পর্ক জাহির করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। যারা প্রতারণা করে গ্রাহকদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’ এ সময় ই-কমার্স থেকে পণ্য কেনার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান টিপু মুনশি।

সিটি নিউজ ঢাকা কথা বলে ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক কষ্ট করে ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির একটা আস্থা তৈরি করেছি। কয়েকটা কোম্পানির জন্য এখন আস্থার সংকট দেখা দিয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি সে সংকট কাটিয়ে ওঠার।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে ওই সকল প্রতিষ্ঠানের সদস্য পদ বাতিল করেছি। আমরা নিয়মিত সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মিটিং করছি। কোথায় কোথায় অনিয়ম হচ্ছে তা ধরিয়ে দিচ্ছি। গ্রাহকদের টাকা কীভাবে ফেরত দেয়া যায় সে বিষয়ে পর্যালোচনা চলছে। তবে প্রক্রিয়াটা একটু ধীরগতিতে চলছে সেটা আমিও বুঝতে পারছি।’

‘পুরো বিষয়টার সঙ্গে সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক রয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রয়েছে। সবাই মিলেই বিষয়টা দেখছে।’ 

ই-অরেঞ্জ, ধামাকা বা ইভ্যালির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর প্রতিষ্ঠান প্রদানদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। কিন্তু বেশ কিছু গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পরও আলেশা মার্ট প্রধানকে এখনও আইনের আওতায় আনা হয়নি। এ প্রসঙ্গে ই-ক্যাব সভাপতি বলেন, ‘পুরো বিষয়টার সঙ্গে সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক রয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রয়েছে। সবাই মিলেই বিষয়টা দেখছে। তবে আমি এটুকু বলতে পারি- অবশ্যই সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে এবং একইসঙ্গে ভোক্তাদের পাওনা টাকা ফেরতের বিষয়টিও নিশ্চিত করা হবে।’

 

এআরআই

অর্থ ও বাণিজ্য সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ