প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২২, ০৫:১৫ পিএম
আলেশা মার্টের প্রধান মঞ্জুর আলম শিকদার। তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত শতাধিক ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে। তবুও অধরাই রয়েছেন এই ক্ষমতাধর ব্যক্তি। যেনো সব কিছুর ঊর্ধ্বে থেকে তিনি আইন-আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছেন! কোনো কিছুকেই পাত্তা দিচ্ছেন না তিনি। এতো গ্রাহকের আর্তনাদ পৌঁছচ্ছে না তার কানে। প্রতারণার মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে রয়েছেন বহাল তবিয়তে!
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের নামে তিনি যে প্রতারণা করেছেন তাতে করে শতশত গ্রাহক এখন দিশেহারা। তারা যে কোনো সময় রাস্তায় নেমে কিংবা তার বাসা ঘেরাও করে দাবিকৃত টাকা আদায়ের চেষ্টা করতে পারেন।
একজন গ্রাহক জানিয়েছেন, মঞ্জুর আলম যেহেতু তার অফিস গুটিয়ে নিয়েছেন তাই তার বাসা ঘেরাও ছাড়া কোন উপায় নেই। তাদের দাবি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ কেউ আলেশা মার্ট প্রধানের পক্ষ নিয়েছেন। এমনকি একটি মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা নিয়েও তারা প্রশ্ন তুলেছেন।
গ্রাহকদের কথা হচ্ছে যে, এতদিন ধরে তারা যেভাবে আন্দোলন করছেন তাতে করে আলেশা মার্ট প্রধানকে আইনের আওতায় আনা উচিত ছিল। কিন্তু এখনও মন্ত্রণালয় ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের যেমন ভুমিকা নিয়ে সন্দেহ আছে, তেমনি সিআইডির ভুমিকা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন।
একজন মন্ত্রী ও অতিরিক্ত সচিব মর্যাদার এক কর্মকর্তার সঙ্গে আলেশা মার্ট প্রধানের সখ্যতা রয়েছে। তার ক্ষমতাবলেই মঞ্জুর আলম শিকদার এখনো অধরা রয়ে গেছেন।
আলেশা মার্টের সঙ্গে একটি মন্ত্রণালয়ের অনেকের সখ্যতা আছে বলেও গ্রাহকদের পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছে। এমনকি সেই মন্ত্রণালয়ের যে ধরনের ভুমিকা রাখার কথা সে অনুযায়ী দৃশ্যমান কোন কিছুই দেখা যাচ্ছে না।
অন্যদিকে আলেশা মার্টের পক্ষ থেকেও মন্ত্রনালয়টির সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির সখ্যতা আছে বলে প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের প্রচারে গ্রাহকদের ভেতরে অসন্তোষ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে।
দায়িত্বশীল একটি সুত্র জানায়, একজন মন্ত্রী ও অতিরিক্ত সচিব মর্যাদার এক কর্মকতার সঙ্গে আলেশা মার্ট প্রধানের সখ্যতা রয়েছে। তারই ক্ষমতাবলে মঞ্জুর আলম শিকদার এখনো অধরা রয়ে গেছেন।
তা না হলে শতাধিক ওয়ারেন্ট থাকা সত্ত্বেও তাকে গ্রেফতার না করা এবং দৃশ্যমান ব্যবস্থা না নেয়ার আর কি কারণ থাকতে পারে? -প্রশ্ন তুলছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা বলেন, ‘পুলিশ বলছে মঞ্জুর আলম পলাতক। কিন্তু তিনি লাইভে আসেন। এটা অত্যন্ত বিব্রতকর। বর্তমান তথ্য-প্রযুক্তির এই যুগে তার অবস্থান শনাক্ত করা তেমন কোন কঠিন কাজ নয়।’
এদিকে কয়েকজন গ্রাহক সাফ জানিয়েছেন আলেশা মার্ট- তাদের একজন মন্ত্রীর ক্ষমতা দেখিয়েছেন। তাদের মতে, মঞ্জুর আলম বাসায় আছেন। তারা ঠিকানাও জানেন। দয়া করে বাসা ঘেরাও করে তাদের পাওনা আদায় করে দেয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট আকুতিও জানান তারা।
বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মঞ্জুর আলম শিকদার সিটি নিউজকে এসএমএস বার্তায় জানিয়েছেন- যা কিছু লেখা হচ্ছে সবকিছুই অসত্য ও বিভ্রান্তিকর। শতাধিক ওয়ারেন্ট ও অভিযোগের কথা জানতে চাইলে তিনি কোন বক্তব্য না দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এআরআই