• ঢাকা রবিবার
    ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

‍‍`মঞ্জুর আলম আমার জীবনটা শেষ করে দিয়েছেন‍‍`

প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২২, ০১:২৭ এএম

‍‍`মঞ্জুর আলম আমার জীবনটা শেষ করে দিয়েছেন‍‍`

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মানুষ স্বপ্নবাজ। স্বপ্ন পুরণের লক্ষ্যে ছুটে কাটিয়ে দেয় তার সারাজীবন। তবে স্বপ্নের পথে কখনও কখনও হার মানতে হয় মানুষকে। সেই সময়টায় কেউ পাশে না থাকলেও পরিবার সঙ্গ দেয় তাদের। কিন্তু কখনও কখনও পরিবারও পাশে থাকে না। শিকার হতে হয় কটাক্ষের। তেমনি পরিবারের কটাক্ষের শিকার হচ্ছেন রাজধানীর বাসিন্দা ফারুক। পরিবার নিয়ে ভালো থাকার স্বপ্ন দেখে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টে বিনিয়োগ করছেন তিনি। আর হয়েছেন প্রতারণার শিকার।

ফারুক একজন বেসরকারি চাকুরিজীবী। লোভনীয় অফার দেখে ব্যাংক লোন নিয়ে আলেশা মার্টে ৫টি মোটরসাইকেল অর্ডার করেন। আশা ছিল মোটরসাইকেলগুলো হাতে পেলে সেগুলো বিক্রি করে কিছুটা লাভবান হবেন। কিন্তু মঞ্জুর আলম শিকদারের প্রতারণার ফাঁদে পা দিবেন তা জানতেন না তিনি। আলেশা মার্ট বন্ধ হয়ে যায়। তখনই মাথায় বজ্রপাত হয় ফারুকের। দীর্ঘ অপেক্ষার পর ৭ লাখ ৬২ হাজার টাকার চেক পান ফারুক। কিন্তু চেক ব্যাংকে ডিজঅনার হয়। আর তাতেই সব স্বপ্ন যেনো দুঃস্বপ্ন হয়ে নেমে আসে তার জীবনে।

সিটি নিউজ ঢাকার এই প্রতিবেদক এর সঙ্গে কথা হয় ভুক্তভোগী ফারুকের। ফারুক বলেন, ‘কী আর বলবো ভাই। এক আলেশা মার্ট আমার জীবনের সুখ কেড়ে নিয়েছে। ব্যবসার উদ্দেশ্যে ব্যাংক লোন নিয়ে আলেশা মার্টে ৫টা বাইক অর্ডার দেই। বাইক হাতে পাওয়ার আগেই আলেশা মার্ট বন্ধ হয়ে যায়। একটা সময় অপেক্ষার পর চেক হাতে পাই। চেকে দেয়া তারিখে ব্যাংকে যাই। কিন্তু চেক ডিজঅনার হয়। পরে উকিল নোটিশ পাঠাই কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘ভাই বেসরকারি চাকুরি করি। বেতনই-বা কত পাই। ব্যাংক লোন পরিশোধ করতে করতে সব শেষ হয়ে যায়। পরিবার নিয়ে চলতে কষ্ট হচ্ছে। বর্তমানে স্ত্রী-সন্তানরাও ঠিকভাবে কথা বলে না।’

প্রতারিত ফারুক বলেন, ‘ভাই এই দুঃখ কাকে বলবো বলেন? যাদের জন্য এত কিছু করলাম তারাই এখন আমার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। নতুন করে যে কোনো কিছু শুরু করে সফল হবো- সেই বিশ্বাস তারা আমার উপর রাখছে না।’

ফারুক বলেন, ‘এই মঞ্জুর আলম আমার জীবনটা শেষ করে দিয়েছেন। আমার মত এমন হাজারো মানুষের জীবন ধ্বংস করার পেছনে সে দায়ী। কিন্তু দেখেন, আইন তাকে কিছুই করছে না। অনান্য ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তাদের ঠিকই পুলিশ আটক করেছে। কিন্তু শিকদারের কিছু হচ্ছে না। আমরা চাই তাকে গ্রেফতার করা হোক এবং আমার মত ভুক্তভোগীদের পাওনা ফিরিয়ে দেয়া হোক।’

মঞ্জুর আলম তার মত এমন অনেক গ্রাহকের জীবনের শান্তি কেড়ে নিয়েছেন বলেও জানান ফারুক। 

উল্লেখ্য, গ্রাহকদের কয়েকশো কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিজেদের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্ট। এরপর থেকেই বিনিয়োগের টাকা ফেরত পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন প্রতারিত গ্রাহকেরা।

এআরআই

আর্কাইভ