প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২২, ১১:২৮ পিএম
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্ট। হাজারো গ্রাহকের কাছ থেকে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে রয়েছে বহাল তবিয়তে। তবে ভালো নেই প্রতিষ্ঠানটিতে বিনিয়োগ করা সাধারণ মানুষেরা। আলেশা মার্টের লোভনীয় অফারে নিজেদের কষ্টার্জিত সম্বল বিনিয়োগ করে এখন পথে পথে ঘুরছে প্রতারিত গ্রাহকেরা। কেউবা দিয়েছেন নিজের দীর্ঘদিনের উপার্জন, কেউ দিয়েছেন ঋণ করে আবার কেউবা দিয়েছেন মায়ের বা বোনের শেষ সম্বল।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টে টাকা বিনিয়োগ করে নিঃস্ব হয়েছেন অসংখ্য গ্রাহক। নিজেদের পাওনা টাকা ফেরত পেতে মামলা করেছেন অনেকে। কিন্তু অদৃশ্য কোনো কারণে আলেশা মার্ট প্রধান মঞ্জুর আলম শিকদারের বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে না আইনি ব্যবস্থা। এতে ফুঁসে উঠছেন প্রতারিত গ্রাহকেরা। তাদের দাবী, গ্রাহকদের পাওনা ফিরিয়ে দেয়া হোক, একইসঙ্গে মঞ্জুরুল গংদের গ্রেফতার করা হোক। এদিকে বেশ কয়েকবার ফেসবুক লাইভে এসে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেবার কথা বলেও টাকা দেননি মঞ্জুর আলম শিকদার। এমতবস্থায় বৃহৎ আন্দোলনে নামার হুমকি দিচ্ছেন গ্রাহকেরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আলেশা মার্ট সংক্রান্ত বেশ কিছু গ্রুপে স্ট্যাটাস ও ভিডিও বার্তার মাধ্যমে এমন ঘোষণা দিচ্ছেন তারা।
ভুক্তভোগীদের মাঝে একজন তৌহিদুল ইসলাম। আন্দোলনে ডাক দিয়ে তিনি লিখেন, ‘নিরবতা আমাদেরকে পিছিয়ে দিবে। আমাদের পাওনা, তাই আমাদেরই সোচ্চার হতে হবে। নতুন কর্মসূচির কার্যক্রম চলতেছে। তাই সকলকে সোচ্চার হওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।’
সম্প্রতি একটি লাইভে এসে আগামী ১৬ অক্টোবর থেকে লিস্ট প্রকাশ করে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আলেশা মার্ট প্রধান মঞ্জুর আলম। তার কথার উপর ভরসা করে এখনো অপেক্ষা করছেন অনেক গ্রাহক। তবে সেদিনও টাকা ফেরত পাবার কার্যক্রম শুরু না হলে পরিস্থিতি ভয়াবহার দিকে যাবে বলে হুমকি দিচ্ছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা। তাদের একজন হারুন অর রশীদ। তিনি লিখেন. ‘আশা করি শিকদার সাহেব তার কথা মোতাবেক আগামী ১৬ অক্টোবর থেকে লিস্ট প্রকাশ করে ভুক্তভোগী গ্রাহকের পাওনা টাকা বুঝিয়ে দিবেন। যদি এবার শিকদার সাহেবের দেয়া কথা ঠিক না থাকে, তাহলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে। কথা মাথায় রাইখেন।’
আলেশা মার্ট কাস্টমার এসোশিয়েশন নামক একটি ফেসবুক গ্রুপে টপ টাচ আইডি নামক একটি প্রোফাইল থেকে এক গ্রাহক লিখেন, ‘আন্দোলন ছাড়া কিছুই দেখছিনা, টাকা দিবেনা শিকদার। তার গত লাইভের কথা দিয়ে আবার সেটা প্রমাণিত হয়েছে।’
তিনি লিখেন, ‘সুতারাং ঢাকায় যারা আছেন, আর এই গ্রুপের সাথে যারা জড়িত আছেন তারা কঠোর আন্দোলনের আহবান জানান। আমরা আপনাদের সাথে ছিলাম থাকবো। একসময় আমি শিকদারের ফ্যান ছিলাম এতো সুন্দরভাবে কনফিডেন্স সহকারে মিথ্যা কথা বলতে পারে আমার আগে জানা ছিলাম না। সেই দিন পার হয়েছে। তার মুখোশ আমাদের কাছে খুলে গেছে। আমরা চাইনা আমাদের কষ্ট অর্জিত টাকা এভাবে খোয়া যাক। সুতারাং বড় ভাইরা একটু কষ্ট করে আন্দোলনের আয়োজন করেন।’
এদিকে গ্রাহকেরা আন্দোলনে নামলে হতে পারে বিশৃঙ্খলা। বিশেষ করে রাস্তা অবরোধ করা হলে, দেখা দিতে পারে যানজটের। ক্ষতি হতে পারে কর্মঘণ্টার।
এআরআই