• ঢাকা সোমবার
    ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

আলেশা মার্টের মানি লন্ডারিংয়ের তথ্য সিআইডির হাতে

প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২২, ০৫:০৮ এএম

আলেশা মার্টের মানি লন্ডারিংয়ের তথ্য সিআইডির হাতে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকদের শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পাচার করেছেন আলেশা মার্ট চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদার। এই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটির বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে এমন তথ্যই পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

ফলশ্রুতিতে চলতি বছরের মে মাসে আলেশা মার্ট প্রধান মঞ্জুর আলম শিকদার এবং তার স্ত্রী সাদিয়া চৌধুরীর সম্পদের হিসাব তলব করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই সংস্থাটি। চিঠিতে বলা হয়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পণ্য বিক্রয়ের নামে গ্রাহকদের সাথে প্রতারণার মাধ্যমে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন- ২০১২ এর সম্পৃক্ত অপরাধের প্রাথমিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। অনুসন্ধানটির সুষ্ঠ তদন্ত ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের স্বার্থে অভিযুক্ত আলেশা মার্টের প্রধান মঞ্জুর আলম শিকদার, সাদিয়া চৌধুরী, আলেশা হোল্ডিংস লিমিটেড, আলেশা কার্ড ও আলেশা মার্ট -এর নিবন্ধিত সকল প্রকার সম্পত্তি ও মোটরযানের তথ্য প্রয়োজন। তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ ছাদেক আলী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এসব তথ্য চাওয়া হয়।

তবে মানি লন্ডারিংয়ে সম্পৃক্ততার প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেলেও তদন্তকালীন দীর্ঘ প্রায় ৫ মাসেও অভিযুক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার মানি লন্ডারিং মামলা করা হয়নি। এই নিয়ে রয়েছে সংশয়। মামলা না হওয়ার পিছনে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবহেলা নাকি আঁতাত রয়েছে - জন্ম দিয়েছে সেই প্রশ্নের।

দেশের অন্যান্য ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ ওঠার পর তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মানি লন্ডারিংয়ের মামলা করা হয়েছিল। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছিল অভিযুক্তদের।

 

কিন্তু আলেশা মার্ট প্রধানের ক্ষেত্রে এই নিয়মের ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে। তাহলে কী মঞ্জুর আলম শিকদার দেশের প্রচলিত আইনের ঊর্ধ্বের কেউ! নাকি অদৃশ্য কোনো চুক্তির বলে বহাল তবিয়তে রয়েছেন তিনি- এমন প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে ভুক্তভোগীসহ দেশবাসীর মনে।

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ছাদেক আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এআরআই/এএল

অর্থ ও বাণিজ্য সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ