• ঢাকা সোমবার
    ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

আলেশা মার্ট একটি ‘মধুময়’ ফাইল!

প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২২, ০৮:১৮ পিএম

আলেশা মার্ট একটি ‘মধুময়’ ফাইল!

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ থাকলেও এখন পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান ব‍্যবস্থা নেয়া হয়নি। হয়নি কোনো মানিলন্ডারিং মামলাও। আর এর পেছনের কারিগররাও চিহ্নিত হয়েছে। তাদের সঙ্গে আলেশা মার্ট প্রধান মঞ্জুরুল আলম শিকদারের যোগসূত্র, লেনদেন, দেন দরবারকে দায়ী করছেন ভুক্তভোগীদের কেউ কেউ।

তাদের মতে, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টের ঘটনাটি চাউর হওয়ার পর ভুক্তভোগীদেরকে পুঁজি করে ব্যাপক ফায়দা নিচ্ছে বিভিন্ন সংস্থার লোকজন। বিশেষ করে পুলিশের একটি ইউনিটের একজন পুলিশ সুপার, একজন পরিদর্শক এবং একজন উপ-পরিদর্শক মর্যাদার কর্মকর্তার হাত হয়ে দেন দরবার হয়েছে বলে দায়িত্বশীল একটি সূত্রে জানা গেছে।

আলেশা মার্টের ভেতরে অবস্থান করছেন এমন একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে যে ধরনের অভিযোগ নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই তুলনায় যে মাত্রার আইনি পদক্ষেপ নেয়ার কথা ছিল- আলেশা মার্টের ক্ষেত্রে তা গ্রহণ করেনি সংশ্লিষ্টরা। তার কারণ হিসেবে তিনি অনেকটা ইঙ্গিত করে বলেন, “একটি বিশেষ স্থান থেকে ফোন করে এ ঘটনায় ‘সফটকর্নার’ দেখানোর বিষয়টি বলা হয়েছিল। কিন্তু যতটুকু বলা হয়েছে তার চেয়ে বেশি মাত্রায় সফটকর্নার দেখানো হয়। আর সেখানে বড় অংকের লেনদেনই মূখ্য।”

একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনায় দায়িত্বশীল সংস্থা আনুষ্ঠানিক তদন্ত করলেও ছায়া তদন্ত করে থাকে বিভিন্ন সংস্থা। যারা ছায়া তদন্ত করছেন তাদের হাতে পিলে চমকানো তথ্য রয়েছে।’

কেনো এবং কী কারণে আলেশা মার্ট প্রধানকে বাঁচানো হচ্ছে বা তাকে আড়ালে রাখা হচ্ছে সে বিষয়ে খুব শিগগিরই বোমা ফাটানোর মতো তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে। আর এতে করে সব ফাঁস হয়ে যাবে। কোথায়, কিভাবে, কার হাত হয়ে লেনদেন হয়েছে- সব জানা যাবে সহসাই।

সিটি নিউজ ঢাকার কাছে এ সংক্রান্ত বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য রয়েছে। এ সকল তথ্য-উপাত্ত যথাযথ মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এসব তথ্য এতটাই স্পর্শকাতর যে, তা নিয়ে ব্যাপক অনুসন্ধান প্রয়োজন। বিশেষ করে দুইজন কর্মকর্তার গতিবিধি এবং তাদের সঙ্গে আলেশা মার্টের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার বিষয়টি চলে এসেছে তাতে করে নানা ধরনের প্রশ্ন উঠতে পারে। তাছাড়া আলেশা মার্ট প্রধানকে বাঁচানোর জন্য যারা কৌশল করেছে তার একটি ছকও পাওয়া গেছে প্রাথমিক অনুসন্ধানে।

এখানে লক্ষ্যনীয় যে, ইতিপূর্বে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণায় জড়িত অন্যসব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের মামলা হলেও রহস্যময় কারণে আলেশা মার্টের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো মামলা হয়নি।

 

এআরআই/এএল

অর্থ ও বাণিজ্য সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ