নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ফের বড় দরপতনে দেশের শেয়ারবাজার। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে।
কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। ডিএসইতে দরপতনের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ৮৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠান। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ছয় হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে গেছে।
সোমবার শেয়ারবাজারে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার দেখা মেলে। মঙ্গলবার লেনদেনের একপর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ১০৩ পয়েন্ট বাড়লেও, লেনদেন শেষে সূচকটি বাড়ে ২৯ পয়েন্ট।
বুধবার শেয়ারবাজারে আবার বড় দরপতন হয়। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৭৪ পয়েন্ট কমে যায়। এ পরিস্থিতে বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হতেই বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমে যায়। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বড় হতে থাকে দরপতনের তালিকা।
ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৫ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সোনালী পেপারের ১৯ কোটি ৭০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ১৬ কোটি ২৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফরচুন সুজ।
এ ছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে মতিন স্পিনিং, ইনট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, কেডিএস এক্সসরিজ, শাহিনপুকুর সিরামিকস এবং স্কয়ার টেক্সটাইল।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ২০৪ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ১১ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ২৭১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৭টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৪০টির এবং ১৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
ডা/
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন