• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ০৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

এনবিআরের ভ্যাট আদায় প্রক্রিয়ার কড়া সমালোচনা এফবিসিসিআইয়ের

প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২১, ০৭:৩৭ পিএম

এনবিআরের ভ্যাট আদায় প্রক্রিয়ার কড়া সমালোচনা এফবিসিসিআইয়ের

সিটি নিউজ ডেস্ক

এবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট আদায় প্রক্রিয়ার কড়া সমালোচনা করল ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।

সংগঠনটির সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেছেন, ‘সরকার এখানে (ভ্যাট আদায় প্রক্রিয়া) এক টাকা বিনিয়োগ করলে ১০০ টাকা পাবে, তাহলে সরকার কেন এখানে বিনিয়োগ করছে না।

তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা ভ্যাট, ট্যাক্স দিতে চায়। কিন্তু পদ্ধতিটা সহজ হওয়া উচিত। সরকার এত বড় বাজেট দিচ্ছে, এত কিছু করছে। আমি তো মনে করি, জায়গায় (ভ্যাট আদায় প্রক্রিয়া) বিনিয়োগ বাড়ানো উচিত।

শনিবার ( জুন) মতিঝিলের এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা ভ্যাট দিতে চায়, ট্যাক্স দিতে চায়। সবই দিতে চায়। ভ্যাট আদায়ে একটা মার্কেটে ১০০টা দোকান থাকলে ১০টা দোকানে মেশিন বসানো হলো। আমরা বলছি দিলে সবাইকে দেবেন, না দিলে কাউকেই দেবেন না। কত টাকা লাগে এখানে। বেশি টাকার তো দরকার নেই। সরকার এত টাকার বাজেট দিচ্ছে, এত কিছু করছে, আমি তো মনে করি এখানে বিনিয়োগ বাড়ানো উচিত।

তিনি বলেন, ‘সরকার এখানে এক টাকা ইনভেস্ট করলে ১০০ টাকা পাচ্ছে। তাহলে ইনভেস্ট কেন করছে না?’

কালো টাকার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হলে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত দেয়া উচিত। এটা সব সময়ের জন্য দেয়া হলে যারা নিয়মিত ভ্যাট দেন তারা নিরুৎসাহিত হবেন।

সংবাদ সম্মেলনে এফবিসিসিআই সভাপতি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন করে আরও একটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করার দাবি জানান।

তিনি বলেন, ‘ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার যে প্রণোদনা প্যাকেজ দেয়া হয়েছিল, তার সম্পূর্ণ এখনও দেয়া হয়নি। কেন দেয়া হয়নি, সে বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বসব। এখন ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে আমরা আরও একটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।

ছাড়াও ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে অগ্রিম আয়কর (এআইটি), আগাম কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করাসহ আরও কয়েকটি দাবি জানিয়েছে এফবিসিসিআই।

সংগঠনটির সভাপতি বলেন, ‘অগ্রিম আয়কর (এটিআই) বেআইনি। এফবিসিসিআই থেকে বিদ্যমান শতাংশ অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করার কথা বলা হয়েছিল। অথচ বাজেটে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত অগ্রিম আয়কর আরোপ করা হয়েছে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অচলাবস্থার সৃষ্টি হবে। অগ্রিম আয়কর আমরা সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি নিহাদ কবির, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমান প্রমুখ।

বিআর/এম. জামান/ জুন

অর্থ ও বাণিজ্য সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ