সিটি নিউজ ডেস্ক
দেশে ভোজ্যতেল আমদানির ওপর ১০ শতাংশ মূল্যসংযোজন কর (ভ্যাট) কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুনভাবে নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
বুধবার (১৬ মার্চ) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (মূল্যসংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক) থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে নতুন এ আমদানি কর নির্ধারণ করা হয়।
এর আগে ভোজ্যতেল আমদানির ওপর ১৫ শতাংশ মূল্যসংযোজন কর (ভ্যাট) ছিল।
মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মূল্যসংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২-এর ধারা ১২৬ উপধারা (১)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে কাস্টমস অ্যাক্ট ১৯৬৯-এর ফার্স্ট শিডিউলভুক্ত পণ্যসমূহের মধ্যে পরিশোধিত সয়াবিন তেল, অপরিশোধিত সয়াবিন তেল, অপরিশোধিত পাম অয়েল ও অন্যান্য রিফাইন পাম অয়েল আমদানি পর্যায়ে আরোপিত মূল্যসংযোজন কর ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হলো।
এ প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
গত ১০ মার্চ সচিবালয়ের সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে ভোজ্যতেল, চিনি ও ছোলার আমদানি কর প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
পরে ১৪ মার্চ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) উৎপাদন ও ভোক্তাপর্যায়ে ভোজ্যতেলের ওপর ২০ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের বিষয়ে আদেশ জারি করে এবং ওইদিন থেকে তা কার্যকর করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। সয়াবিন ও পাম অয়েলের উৎপাদন ও বাজারজাতপর্যায়ে ভ্যাট প্রত্যাহারের পর এবার আমদানি পর্যায়েও ভ্যাট কমানো হলো।
জানা গেছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে সয়াবিন তেলের দাম বাড়তে শুরু করে। পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৮০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। তবে রমজানের আগে তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে ভ্যাট কমানোর জন্য কয়েক দফা সরকারের উচ্চপর্যায়ে সভা হয়। পরে উৎপাদন, আমদানি ও ভোক্তাপর্যায়ে ভ্যাট কমাতে ব্যবসায়ী ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এনবিআরকে অনুরোধ করা হয়।
সাজেদ/
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন