প্রকাশিত: জানুয়ারি ১, ২০২২, ০৮:৫০ পিএম
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাণিজ্য মেলায় যাতায়াতের সুবিধার জন্য
রাস্তা চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। বিআরটিসি’র ৩০টি বাস
কুড়িল বিশ্বরোড থেকে এক্সিবিশন সেন্টার পর্যন্ত মেলা চলাকালীন বিশেষ ব্যবস্থায়
যাতায়াত করবে।
শনিবার (০১ জানুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণববন থেকে ভার্চ্যুয়ালি বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করেন।
সভাপতির বক্তব্য বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘এবারের বাণিজ্য মেলায় ১১টি দেশের ২২৭টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে। এ বাণিজ্য মেলার পাশাপাশি বছরব্যাপী বিভিন্ন ধরনের মেলা ও প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান এখানে অনুষ্ঠিত হবে। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়িত হলো এবং দেশের বাণিজ্য সেক্টর খুঁজে পেলো স্থায়ী ঠিকানা।’
তিনি বলেন, ‘বাণিজ্য মেলায় যাতায়াতের সুবিধার জন্য রাস্তা চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। বিআরটিসি’র ৩০টি বাস কুড়িল বিশ্বরোড থেকে এক্সিবিশন সেন্টার পর্যন্ত মেলা চলাকালীন বিশেষ ব্যবস্থায় যাতায়াত করবে। ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা। ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে বিআরটিসির নির্ধারিত রুটে বাসও চলবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভিসি এএইচ এম আহসান, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির (এফবিসিসিআই), প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দীন। এ ছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) মো. হাফিজুর রহমানসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর সিনিয়র কর্মকর্তারাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিদিন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে মেলা চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। ছুটির দিনে দর্শনার্থীদের জন্য রাত ১০টা পর্যন্ত মেলার দ্বার উন্মুক্ত থাকবে। আগের মতো এবারও মেলায় প্রবেশের টিকিটের দাম শিশুদের জন্য ২০ টাকা আর বড়দের জন্য ৪০ টাকা। এ ছাড়া এবারই প্রথম দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য থাকছে শাটল সার্ভিস। কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচ থেকে মাসজুড়ে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে ১৫টি করে মোট ৩০টি বাস চলাচল করবে।
মেলায় অংশ নিয়েছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। বিদেশি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ভারত, চীন, তুরস্ক, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশের কোম্পানি।
করোনা মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনায় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারের সক্ষমতার চেয়ে অনেক কম সংখ্যক স্টল-প্যাভিলিয়ন বসানো হয়েছে। এবারের ছোটবড় মিলিয়ে ২২৫টি স্টল-প্যাভিলিয়ন দিয়ে সাজানো হয়েছে। এর আগে ঢাকার শেরে বাংলা নগরে আয়োজিত মেলায় ২০১৯ সালে ৫৫০টি এবং ২০২০ সালে ৪৫০টি স্টল-প্যাভিলিয়ন বসেছিল। করোনা মহামারির কারণে ২০২১ সালে মেলা বসেনি।
জেডআই/ডা