প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২১, ০৯:১৩ পিএম
করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ে বিপর্যয়ের মুখে গোটা দেশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় দুই
শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে সংক্রমিত
হয়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সারা দেশে চলছে
লকডাউন। কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই
শুরু হয়েছে লঞ্চসহ যাত্রীবাহী সব নৌযান চলাচল।
রোববার (১ আগস্ট) দুপুর
১২টা পর্যন্ত এই চলাচল অব্যাহত
থাকবে।
শনিবার
(৩১ জুলাই) বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) জনসংযোগ কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
করোনার
তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ১ জুলাই
থেকে এক সপ্তাহের কঠোর
লকডাউন আরোপ করে সরকার।
পরে সময়সীমা বাড়িয়ে ১৪ জুলাই পর্যন্ত
করা হয়। এরপর ঈদুল
আজহা উপলক্ষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত
প্রজ্ঞাপন জারি করে কঠোর
বিধিনিষেধ ১৪ জুলাই মধ্যরাত
থেকে শিথিল করা হয় ২৩
জুলাই ভোর ৬টা পর্যন্ত।
একই
সঙ্গে ২৩ দফা নির্দেশনা
দিয়ে ঈদের তৃতীয় দিন,
অর্থাৎ ২৩ জুলাই ভোর
৬টা থেকে ৫ আগস্ট
রাত ১২টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ
আরোপ করা হয়। যা
এখনও চলমান। এই সময়ে সবকিছু
বন্ধ থাকবে বলেও জানানো হয়।
গণপরিবহন, লঞ্চ ও ট্রেন
বন্ধ রাখা হয়।
এ
দিকে রফতানিমুখী সব শিল্পকারখানা রোববার
থেকে খুলে দেয়া হয়েছে।
কিন্তু গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ঢাকায়
কিংবা কর্মস্থলে ফিরতে পারছেন না মানুষ। ফলে
যে যেভাবে পারছেন ছুটছেন। দীর্ঘ লকডাউনে বেকার হয়ে পড়া গার্মেন্টস
কর্মী, রিকশা শ্রমিক, কারখানার শ্রমিকেরা লকডাউন উপেক্ষা করে স্রোতের মতো
নিজ কর্মস্থল ঢাকার দিকে ছুটছেন।
গার্মেন্টস
ও শিল্প-কারখানা খুলে দেয়ার কারণে
করোনার ভয়কে উপেক্ষা করে,
স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে কর্মজীবী
নারী-পুরুষ ট্রাক-পিকআপে গাদাগাদি করে এবং জীবনের
ঝুঁকি নিয়ে ছাদে উঠে
কর্মস্থলে যাচ্ছেন। উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশকে হিমশিম
খেতে হচ্ছে লকডাউন মানাতে।
জেডআই/এম. জামান