গণপরিবহন বন্ধ রেখে শিল্প-কারখানা চালু করা হঠকারিতা

দলটির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি ও মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বলেন, ‘লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ। অন্যদিকে শ্রমিকেরা যখন গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছেন ঠিক এই সময়ে কারখানা খুলে দেয়া সরকারের হঠকারী সিদ্ধান্ত ছাড়া আর কিছুই নয়।’ শনিবার (৩১ জুলাই) এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এ মন্তব্য করেন।

ন্যাপ নেতারা বলেন, ‘গার্মেন্টসসহ রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দেয়ার পর আর লকডাউন জারি রাখার কোনো অর্থ নেই। সরকারের উচিত লকডাউন তুলে দিয়ে শতভাগ মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে প্রয়োজনে কঠোর হওয়া। ডিসেম্বরের মধ্যে অন্তত ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা। ছাত্র-ছাত্রীদের টিকা দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া এবং সব গার্মেন্টস ও শিল্প-কারখানা কর্মীকেও টিকা দেয়া নিশ্চিত করা।’ 

গণটিকা কর্মসূচি আরও জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন ন্যাপের নেতারা। দলটির শীর্ষ দুই নেতা বলেন, ‘এখন যেভাবে টিকা দেয়া হচ্ছে তাতে আগামী দুই বছরেও শেষ করা সম্ভব হবে না। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ টিকা কেন্দ্র চালু করে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। নিবন্ধন পদ্ধতি আরও সহজ করতে হবে। কারণ নিবন্ধন জটিলতার কারণে নিরক্ষর ও স্বল্প শিক্ষিত মানুষ টিকা নিতে আগ্রহী হচ্ছে না।’

টিকার নিবন্ধন ফরম তৈরি করে জনপ্রতিনিধি বা স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেয়ার দাবি জানান তারা। এতে করে আগ্রহীরা ফরম পূরণ করে সহজেই ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রে গিয়ে টিকা দিতে পারবে। ফরমের সঙ্গে ভোটার আইডি কার্ড কিংবা অন্য কোনো আইডি কার্ড রাখবে। 

সরকারকে সংক্রমণপ্রবণ এলাকায় করোনা চিকিৎসায় ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণে প্রয়োজনীয় ডাক্তার ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দেয়ার দাবি জানিয়ে তারা আরও বলেন, ‘চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনসহ প্রয়োজনীয় সব বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। তাহলেই জনগণের জীবনে স্বস্তি আসবে এবং জীবন রক্ষা পাবে।’