নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভোজন বিলাসীদের জন্য ইলিশ মাছের বাজার স্বস্তির সংবাদ নিয়ে এসেছে। রাজধানীর মাছের বাজারে ইলিশ মাছের দাম আগের তুলনায় কমেছে। এক কেজির চেয়ে কিছুটা বড় আকারের ইলিশ এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫০০-১৬০০ টাকায়।
ঈদের আগে একই আকারের ইলিশের দাম ছিল প্রায় ২ হাজার টাকা। মাছ ব্যবসায়ীরা বলছেন, ইলিশ মাছের সরবরাহ আগের তুলনায় বেড়েছে। যে কারণে দাম কমতির দিকে। বর্তমানে আকারভেদে প্রতি কেজি ইলিশে ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা কমেছে। তা ছাড়া বিধিনিষেধের কারণে বাজারে ক্রেতা কম থাকায় দাম কমেছে।
৮০০ গ্রাম বা এর চেয়ে কম ওজনের ইলিশের দাম কেজিতে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৮০০ টাকায়। আর আধা কেজি বা এর কিছু বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে।
অন্যদিকে দাম কমেছে মুরগি ও ডিমের। ঈদের আগে ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা ছিল। সোনালিকা (কক) মুরগির দামও কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা কমে এখন ২১০ থেকে ২১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়।
মুরগির মতো ডিমের দামও কমেছে। ডিমের হালি ৩২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এক ডজন কিনলে দাম পড়ে ৯২ থেকে ৯৫ টাকা। ঈদের আগে এক ডজন ডিম ১০০ থেকে ১০৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
বাজারে বিভিন্ন ধরনের সবজির দামও কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা কমেছে। মিরপুর ১১ নম্বর সেকশন কাঁচাবাজারে করলা প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কিছুদিন আগেও করলার কেজি ৮০ টাকা ছিল। পটল প্রতি কেজি ৪০ টাকা, কাঁকরোল ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, ঝিঙে ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে ঈদের পর চালের দাম নতুন করে আর বাড়েনি। মিরপুরের খুচরা বাজারগুলোতে প্রতি কেজি বিআর-২৮ চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গুটি স্বর্ণা চাল প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা, মিনিকেট ৫৮-৬০ টাকা এবং নাজিরশাইল ৬৫-৬৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ২৩ জুলাই দেশজুড়ে শুরু হওয়া কঠোর বিধিনিষেধের কারণে রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলো এখন সকাল ৯টা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত খোলা থাকছে। আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত কাঁচাবাজার এভাবেই চলবে।
শামীম/টিআর/এএমকে
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
