• ঢাকা শুক্রবার
    ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে চা

প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২১, ১২:১৬ পিএম

রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে চা

সিটি নিউজ ডেস্ক

মহামারি করোনাভাইরাসের তাণ্ডবের শুরু থেকেই আমরা নিজেদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আর এ চেষ্টায় চা হতে পারে অন্যতম একটি পানীয়। চায়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যা শরীরকে ভেতর থেকে সুস্থ হয়ে উঠতে সাহায্য করে। তা ছাড়া ক্লান্তি দূর করতেও এক কাপ চায়ের তুলনা হয় না। চায়ের মধ্যে আছে এক অভাবনীয় আকর্ষণ।

আমেরিকার ন্যাশনাল টি ইনস্টিটিউটের ‘টি অ্যান্ড ক্যানসার’বিষয়ক নিবন্ধে বিজ্ঞানীরা দাবি করেন, ক্যানসার রোধেও চায়ের উপকারিতা পাওয়া যায়। এ বিষয়ে সুনিশ্চিত কিছু বলার সময় অবশ্য এখনো আসেনি। তবে চায়ের কিছু উপাদান প্রাণিকোষের ডিএনএ সুরক্ষায় কাজ করে। এর ফলে ক্যানসারের ঝুঁকি কমে।

চা জনপ্রিয় পানীয়গুলোর মধ্যে একটি। প্রতিদিন ২১৬ কোটি কাপ চা সারা বিশ্বের মানুষ পান করেন। চায়ের আছে নানা রকম গুণ। চায়ের আরও উপকারিতার কথা শুনুন এবার।

ক্যানসার প্রতিরোধ করে : চায়ে আছে অ্যাপিগ্যালোক্যাটেচিন-গ্যালেট (ইজিসিজি) নামের এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ। এটি খুব কার্যকর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ভিটামিন ‘সি’-এর চেয়ে ১০০ গুণ বেশি ফলদায়ক। এটা ডিএনএ সেলকে এমনভাবে সুরক্ষা দেয়, যেন ক্যানসারের প্রভাবে এর রূপান্তর না ঘটে। ওদিকে গ্রিনটির ইজিসিজি ইউরোকিনেজ নামের এনজাইম তৈরিতে বাধা দেয়। এই এনজাইম ক্যানসার কোষের সংখ্যা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে : রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে চা। এই পানীয়তে টেনিস নামে একটি উপাদান রয়েছে, যা নানা ধরনের ক্ষতিকর ভাইরাসের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে। ফলে সহজে কোনো রোগ ছুঁতে পারে না।

মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে : চায়ে ক্যাফিনের পরিমাণ কম থাকায় এই পানীয়টি মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে ব্রেনের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে স্ট্রেস কমে। প্রসঙ্গত, একটি গবেষণায় দেখা গেছে এক মাস টানা যদি লাল চা খাওয়া যায়, তাহলে পারকিনস রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক কমে যায়।

ওজন হ্রাস করে : লেবু-চা হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়। ফলে শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমার সুযোগই পায় না। তাই আপনি যদি ওজন কমাতে বদ্ধপরিকর হন, তাহলে আজ থেকেই খাওয়া শুরু করুন এই পানীয়।

হার্ট চাঙা রাখে : হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে লাল চায়ের কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রপার্টিজ হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটা কমিয়ে দেয়। প্রসঙ্গত, স্ট্রোকের অশঙ্কা কমাতেও লাল চা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

হাড় শক্ত করে : চায়ে উপস্থিত ফাইটোকেমিক্যালস হাড়কে শক্ত করে। ফলে আর্থ্রাইটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।

হজমক্ষমতার উন্নতি ঘটায় : প্রতিদিন লাল চা খেলে হজমক্ষমতা ভালো হতে শুরু করে। আসলে এতে রয়েছে টেনিস নামে একটি উপাদান, যা হজমক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশপাশি গ্য়াস্ট্রিক এবং নানা ধরনের ইন্টেস্টিনাল রোগ সারাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

স্ট্রেস কমায় : লাল চায়ে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা স্ট্রেস কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেই সঙ্গে মনকে চনমনে করে তুলতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়।

টিআর/এএমকে
আর্কাইভ