• ঢাকা শুক্রবার
    ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অনলাইনে ভ্যাট দিতে এনবিআরের অনুমতি চায় ফেসবুক

প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০২১, ০৫:০৩ পিএম

অনলাইনে ভ্যাট দিতে এনবিআরের অনুমতি চায় ফেসবুক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মূল্য সংযোজন কর সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২আইন অনুযায়ী ফেসবুক, ইউটিউব, গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট নিবন্ধনের আওতায় আনা হয়েছে। তারই আলোকে অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) প্রদানের অনুমতি চেয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) অনুরোধ করেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক।

ফেসবুকের স্থানীয় প্রতিনিধির মাধ্যমে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ করা হয়েছে বলে এনবিআরের জনসংযোগ দফতর থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

বর্তমানে অনাবাসী বিদেশি সংস্থা হিসেবে তাদের বিদেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে সরাসরি কিংবা অনলাইন অর্থ প্রদানের মাধ্যমে ভ্যাট পরিশোধের অনুমতি নেই।

বিদ্যমান প্রক্রিয়া অনুসারে, করদাতাদের চেকের মাধ্যমে নির্দিষ্ট ব্যাংকে ট্রেজারি চালানসহ ভ্যাট রিটার্ন দাখিল করতে হয়। কোভিড মহামারির পরিস্থিতিতে দীর্ঘ প্রক্রিয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে অনলাইনে সরাসরি ভ্যাট গ্রহণ করার দাবি করেছে ফেসবুক।

এর আগে গত ১৩ জুন ভ্যাট পরিশোধ ভ্যাট রিটার্ন জমা দেয়াসহ সরাসরি ভ্যাট সংক্রান্ত সেবা পেতে বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (বিআইএন) নেয় ফেসবুক। অনলাইনে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ফেসবুক তিনটি পৃথক বিআইএন নিবন্ধন পেয়েছে। যে তিন প্রতিষ্ঠানের নামে নিবন্ধন নিয়েছে সেগুলো হচ্ছে- ফেসবুক টেকনোলজিস আয়ারল্যান্ড লিমিটেড, ফেসবুক আয়ারল্যান্ড লিমিটেড এবং ফেসবুক পেমেন্টস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড।

বর্তমানে ভ্যাট আইন অনুসারে, ভ্যাট পরিশোধের ক্ষেত্রে স্থানীয় ভ্যাট এজেন্টরা দায়বদ্ধ। ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন পেতে এবং ভ্যাট রিটার্ন জমা দেয়ার জন্য সংস্থাগুলো ২০১৯ সাল থেকে নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। তাই ভ্যাট আইন অনুসারে সরাসরি এই সেবা পাওয়ার বিষয়ে তাদের পক্ষ থেকে দাবি ছিল।

মূল্য সংযোজন কর সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২আইন অনুযায়ী ফেসবুক, ইউটিউব, গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানকে মূসক নিবন্ধন নিতে হবে এবং তাদের বাংলাদেশে অফিস স্থাপন অথবা মূসক এজেন্ট নিয়োগ দিতে হবে। পরে ২০২০ সালের প্রথম দিকে আলাদা ভ্যাট নিবন্ধন নম্বরের আওতায় আনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় এনবিআর।

অন্যদিকে মূল্য সংযোজন কর সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ এবং মূল্য সংযোজন কর সম্পূরক বিধিমালা ২০১৬ অনুসারে ভ্যাট নিবন্ধনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে মাস শেষ হওয়ার অনধিক ১৫ দিনের মধ্যে ভ্যাট রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

অন্যথায় সুদ জরিমানা আরোপের বিধান রয়েছে। কারণে ব্যবসায়ীদের মাসিক ভ্যাট দাখিলপত্র দাখিলে সহায়তা করা দাখিলপত্র গ্রহণের সুবিধার্থে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধকালে দেশের সব কাস্টমস, এক্সাইজ ভ্যাট দফতরগুলো খোলা রয়েছে।

জেডআই/সবুজ/নির্জন

আর্কাইভ