আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবে অন্তত ১৭ বাংলাদেশি অভিবাসন-প্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। তারা লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় বিভিন্ন দেশের আরও ৩৮০ অভিবাসন-প্রত্যাশীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (২১ জুলাই) তিউনিসিয়ান রেড ক্রিসেন্টের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
রেড ক্রিসেন্টের কর্মকর্তা মঙ্গি স্লিম বলেন, নৌকাটি লিবিয়ার উত্তর-পশ্চিম উপকূলের জুওয়ারা থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। এতে সিরিয়া, মিসর, সুদান, ইরিত্রিয়া, মালি ও বাংলাদেশের অভিবাসন-প্রত্যাশীরা ছিলেন। লিবিয়া থেকে ইউরোপ যাওয়ার পথে নৌকা ডুবে ১৭ বাংলাদেশি মারা গেছেন এবং ৩৮০ জনের বেশি অভিবাসন-প্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি। উদ্ধার হওয়া অভিবাসন-প্রত্যাশীদের মধ্যে আর কোনো বাংলাদেশি রয়েছেন কি-না তাও নিশ্চিত নয়।
গত কয়েক মাসে তিউনিসিয়া উপকূলে বেশ কয়েকটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ায় তিউনিসিয়া ও লিবিয়া থেকে অভিবাসন-প্রত্যাশীদের ইতালি প্রবেশের চেষ্টাও বেড়েছে। গত ২৪ জুন ভূমধ্যসাগরে ভাসমান অবস্থা থেকে আড়াই শর বেশি বাংলাদেশিকে উদ্ধার করা হয়।
তিউনিসিয়া কোস্টগার্ড জানায়, ২৬৪ বাংলাদেশি ও তিন মিসরীয় নাগরিক, অর্থাৎ মোট ২৬৭ অভিবাসন-প্রত্যাশী একটি নৌকায় করে অবৈধভাবে লিবিয়া থেকে ইউরোপ যেতে চাচ্ছিলেন। কিন্তু মাঝসমুদ্রে নৌকাটি বিকল হয়ে গেলে বিপদে পড়েন তারা। এর মাত্র তিন দিন পরেই সাগরে ভাসমান অবস্থায় ১৭৮ অভিবাসন-প্রত্যাশীকে উদ্ধার করে তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী। উদ্ধার করা হয় দুটি মরদেহও।
তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন বাংলাদেশি। অন্যরা ইরিত্রিয়া, মিসর, মালি ও আইভরিকোস্টের নাগরিক। এরপর ৩ জুলাই লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে বাংলাদেশ, মিসরসহ চারটি দেশের অন্তত ৪৩ জন অভিবাসন-প্রত্যাশী ও শরণার্থী নিয়ে ভূমধ্যসাগরে একটি নৌকা ডুবে যায়।
নৌকার সকল আরোহীর মৃত্যুর আশঙ্কার কথা জানিয়েছিল তিউনিসিয়ার রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। এর মাত্র পাঁচ দিন পরে (৮ জুলাই) ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়া আরেকটি নৌকা থেকে ৪৯ জন বাংলাদেশিকে উদ্ধার করে তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী।
জেডআই/এএমকে
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
