• ঢাকা মঙ্গলবার
    ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

ভারতের সমর্থন নিয়ে আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই না: হাসনাত

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০২৫, ০৫:২৭ পিএম

ভারতের সমর্থন নিয়ে আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই না: হাসনাত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, জনগণকে নিয়ে ক্ষমতায় যেতে চাই। কোন ‘আনহোলি নেক্সাস’, মিডিয়া, মিলিটার ও গণতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করার মধ্য দিয়ে পাশের দেশ ভারতের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় যেতে চাই না।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–২ এ ‘আবু সাঈদকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায়’ সাক্ষ্য দিতে এসে একটি ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন

হাসনাত বলেন, ১৪ জুলাই আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকারের নাতিপুতি এবং রাজাকারের বাচ্চা’ বলে সম্বোধন করা হয়। সেটির প্রতিক্রিয়ায় সারাদেশে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেই বক্তব্য প্রত্যাহার করা হয়। পাশাপাশি শেখ হাসিনাকে নিঃশর্ত মাফ চাইতে বলা হয়। পরদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মহানগর উত্তর-দক্ষিণের ছাত্রলীগ ওবায়দুল কাদেরের ইন্ধনে শিক্ষার্থীদের ওপর নিশংসভাবে হামলা চালায়। এমনকি নারী শিক্ষার্থীদেরকেও নিপীড়ন করা হয়।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদেরকে হল থেকে বের করে দেয়া হয়। সেখানে প্রশাসনিক যোগ সাজসে শিক্ষার্থীদের ওপরে ১৫ তারিখে নির্যাতন চালায়। এর প্রতিবাদে ১৬ জুলাই সারাদেশে স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভ মিছিল হয়। সেখানে রংপুরে আবু সাঈদকে ক্যাম্পাস কম্পাউন্ডে গুলি করে হত্যা করা হয় এবং চট্টগ্রামে ছাত্রদলের ওয়াসিমকেও হত্যা করা হয়। সেদিন সারাদেশে মোট ছয়জন শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

হাসনাত বলেন, ১৭ জুলাই গায়েবানা জানাজা দিতে গেলে এজেন্সির চাপ, বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগসাজশ এবং ইউজিসির নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়া হয়। গায়েবানা জানাজায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তথা পুলিশ, বিজিবি ও অন্যান্য সদস্য সমন্বিতভাবে টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতেন। মিলিটারি, মিডিয়া ও জুডিশিয়ারিকে নিয়ন্ত্রন করতেন বলেও মন্তব্য করেন হাসনাত।

এর আগে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক ভিসি হাসিবুর রশীদসহ ৩০ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন হাসনাত আবদুল্লাহ।

আর্কাইভ