• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে দেশজুড়ে কোরবানির ব্যস্ততা

প্রকাশিত: জুলাই ২১, ২০২১, ১২:১৫ পিএম

আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে দেশজুড়ে কোরবানির ব্যস্ততা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কোরবানি শব্দটির অর্থ হলো নৈকট্য লাভ, সান্নিধ্য অর্জন ও প্রিয় বস্তুকে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য উৎসর্গ করা। তাই ঈদুল আজহান নামাজ আদায় করেই আল্লাহর নামে পশু কোরবানি করেন সামর্থবান মুসল্লিরা। 

কোরবানি মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দার জন্য এক মহা নিদর্শন। কোরবানির পশুর রক্ত, পশম কোনো কিছুই মহান আল্লাহর কাছে পৌঁছে না। বরং পৌঁছায় বান্দার নিয়ত। সে কারণে যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে বিশুদ্ধ নিয়তে কোরবানি দেয়া। নিয়ম মেনেই বুধবার (২১ জুলাই) কোরবানির পশু জবাইয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন রাজধানীসহ সারা দেশের মুসল্লিরা। 

গত বছরের মতো এবারও করোনা সংক্রমণজনিত ঝুঁকির কারণে সরকারি নির্দেশনায় ঈদে শুভেচ্ছা বিনিময় ও কোলাকুলির দৃশ্য একেবারেই অনুপস্থিত। মসজিদে মুসল্লিদের প্রত্যেকের মুখে মাস্ক, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বসা, দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় ও মোনাজাত শেষে কোলাকুলি ও শুভেচ্ছা বিনিময় ছাড়া অনেকটাই নিষ্প্রাণ ও ব্যতিক্রম পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঈদের নামাজ। 

মসজিদগুলোর প্রবেশ পথে মুসল্লিদের জন্য মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা হয়। ভোর থেকে সব মসজিদ থেকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে মুসল্লিদের ঈদের নামাজ আদায় করতে মসজিদে যাওয়ার আহাবান জানানো হয়। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭টায় প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। পঞ্চম ও শেষ জামাত অনুষ্ঠিত হয় বেলা ১১টায়।

নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে করোনা মহামারির সংক্রমণ, মৃত্যু এবং বিভিন্ন ধরনের মুসিবত থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা পেতে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ ছাড়াও কোরবানির পশুর বর্জ্য যেন যেখানে-সেখানে ফেলা না হয়, সে ব্যাপারেও মুসল্লিদের অনুরোধ জানানো হয়।

নামাজ শেষে রাজধানীসহ দেশে মুসল্লিরা কোরবানির পশু জবাইয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। পাড়া-মহল্লার অলিগলি থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থানে পশু কোরবানির পর মাংস কাটায় ব্যস্ত সবাই। করোনার কারণে ঘরবন্দি শিশুরা এদিন কোরবানির পশু জবাই দেখতে বাইরে আসে।

গত দুই-তিন দিন শিশুদের আনন্দের সীমা ছিল না। হাট থেকে গরু নিয়ে আসার পর থেকে গরুকে খাওয়ানোসহ বিভিন্ন দায়িত্ব শিশুরাই পালন করে। তাই পশু জবাইয়ের সময় অনেক শিশুর চোখে জল দেখা যায়।

জেডআই/এএমকে
আর্কাইভ