• ঢাকা বুধবার
    ১৯ নভেম্বর, ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

যুদ্ধবিমান ছাড়াও ওয়াশিংটনের থেকে বিপুল সামরিক সহায়তা পাচ্ছে রিয়াদ

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২৫, ০৭:০৬ পিএম

যুদ্ধবিমান ছাড়াও ওয়াশিংটনের থেকে বিপুল সামরিক সহায়তা পাচ্ছে রিয়াদ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে যেন দু‍‍` হাত ভরে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এফ থার্টি ফাইভ যুদ্ধবিমান ছাড়াও রিয়াদ পাচ্ছে বিপুল সামরিক সহায়তা। ওভাল অফিসের বৈঠকে বেশকয়েকটি চুক্তিতেও সম্মত হয়েছেন দুই নেতা। সৌদিকে ন্যাটোর বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু আখ্যা দেয়া হয়েছে। বিনিময়ে ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিকের চুক্তি আব্রাহাম অ্যাকর্ডে যোগ দেয়ার বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন সালমান। যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।

মূলত, লাল গালিচা, মার্চিং ব্যান্ড আর মাথার ওপর সামরিক বিমানের ফ্লাইপাস্ট— রীতিমতো রাজকীয় স্টাইলে মিত্র সৌদি যুবরাজকে হোয়াইট হাউসে বরণ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। দীর্ঘ সাত বছর পর ট্রাম্পের উষ্ণ অভ্যর্থনায় ওভাল অফিসে মোহাম্মদ বিন সালমান।

বৈঠক পর্বের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন দুই নেতা। জানান, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তাজনিত একাধিক চুক্তিতে সম্মত হয়েছে ওয়াশিংটন-রিয়াদ। যার আওতায় এফ-থার্টি ফাইভ যুদ্ধবিমান পেতে যাচ্ছে সৌদি আরব। কিনবে আরও ৩শ‍‍`টি মার্কিন ট্যাংক। ভবিষ্যতে সম্ভাব্য পারমাণবিক চুক্তিও স্বাক্ষর করতে পারে দু‍‍`দেশ বলে প্রত্যাশা।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমরা এই বিষয়ে একমত হয়েছি। একটা চুক্তি হবে। আমরা তাদের কাছে এফ-৩৫ বিক্রি করবো, আর তারা সেটা কিনবে। এটা একটা দারুণ বিমান। যাইহোক, আমরা সেরা সামরিক সরঞ্জাম তৈরি করি। সেরা বিমান, সেরা ক্ষেপণাস্ত্র, সেরা প্রতিরক্ষা তৈরি করি।

দ্বিপাক্ষিক এ আলোচনায় উঠে আসে সৌদি-ইসরায়েল সম্পর্কের বিষয়টি। আব্রাহাম চুক্তিতে রিয়াদকে যুক্ত করার প্রত্যাশা সম্প্রতি একাধিকবার ব্যক্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বৈঠকে সে বিষয়ে রিয়াদের ইতিবাচক সাড়াও পেয়েছেন বলে জানান তিনি। মধ্যপ্রাচ্যের সকল দেশের সাথে সুসম্পর্ক রাখার কথা বলেন বিন সালমানও।

মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, নিশ্চিতভাবেই আমরা বিশ্বাস করি মধ্যপ্রাচ্যের সকল দেশের সাথে সুসম্পর্ক থাকা ভালো, এবং আমরা আব্রাহাম চুক্তির অংশ হতে চাই। কিন্তু এটাও নিশ্চিত করতে চাই যে, দ্বি-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধানের জন্য একটি স্পষ্ট পথ থাকুক। আমরা সে বিষয়ে কাজ করবো।

শুধু চুক্তিই নয়, সৌদি আরবকে ন্যাটো জোটের বাইরে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র ঘোষণা করেন ট্রাম্প। যা এখন পর্যন্ত মাত্র ১৯টি দেশের ভাগ্যে জুটেছে। এদিকে, গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় সম্ভাব্য পরিষদেও যুবরাজ সালমানকে যুক্ত করার কথা জানান ট্রাম্প।

এতকিছুর বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সৌদি আরব। ৬০০ বিলিয়ন থেকে বাড়িয়ে এক ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হয়েছে বিনিয়োগের পরিমাণ।

আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ