• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২

বাবার গুলশানের বাড়িতে প্রথমবার এলেন জাইমা রহমান

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৫, ২০২৫, ০২:৪৯ পিএম

বাবার গুলশানের বাড়িতে প্রথমবার এলেন জাইমা রহমান

সিটি নিউজ ডেস্ক

১৭ বছরের বেশি সময় লন্ডনে নির্বাসিত জীবন শেষে দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার সঙ্গে দেশে এসেছেন স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের পর গণসংবর্ধনায় অংশ নিতে ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ের পথে রওনা দিয়েছেন তারেক রহমান। তবে তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমান সরাসরি রাজধানীর গুলশান অ্যাভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাসভবনে গিয়েছেন।

জীবনে প্রথমবারের মতো গুলশানে বাবার নিজ বাড়িতে উঠলেন তারেক কন্যা জাইমা রহমান।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে বিমানবন্দর থেকে পুলিশি নিরাপত্তায় ডা. জুবাইদা রহমান ও জাইমা রহমান গুলশানের এই বাসভবনে প্রবেশ করেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য গুলশান অ্যাভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাড়িটি সম্পূর্ণ প্রস্তুত করা হয়েছে। ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারের মন্ত্রিসভার সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে বাড়িটি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বরাদ্দ দেওয়া হয়।

দেড় বিঘা জমির ওপর নির্মিত ছায়াঘেরা এই বাড়ির মালিকানা এরপর থেকেই বেগম খালেদা জিয়ার।

তবে দীর্ঘ ১৭ বছর রাজনৈতিক মারপ্যাঁচের কারণে এই বাড়িতে বেগম খালেদা জিয়া কিংবা তারেক রহমান কেউই বসবাস করতে পারেননি। এ সময় বাড়িটি ভাড়া নিয়ে ব্যবহার করছিল ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ। প্রায় এক বছর আগে কোম্পানিটি বাড়িটি ছেড়ে দিলে সেখানে সংস্কারকাজ শুরু হয়।

কয়েক মাস আগে গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও রাজউক চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম রিজু বাড়িটির দলিলপত্র বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে হস্তান্তর করেন। এরপর থেকেই তারেক রহমানের বসবাস উপযোগী করে বাড়িটির ভেতর ও বাইরে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়।

দুইতলা বিশিষ্ট এই বাড়িতে রয়েছে তিনটি বেডরুম, ড্রয়িং রুম, ডাইনিং রুম, লিভিং রুম, সুইমিং পুল এবং সামনে বিশাল খালি জায়গা। আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধায় সজ্জিত বাড়িটির দেয়ালে সম্প্রতি নতুন সাদা রং করা হয়েছে। চারদিকে কাঁটাতারের বেড়া, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন এবং বড় দুটি গেটে পুলিশ বক্স বসানো হয়েছে।

বাড়িটির চারপাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

আর্কাইভ