• ঢাকা শনিবার
    ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

‘অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবসা করলে নিতে হবে নিবন্ধন’

প্রকাশিত: জুলাই ১৮, ২০২১, ০৬:২৬ পিএম

‘অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবসা করলে নিতে হবে নিবন্ধন’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেছেন, ‘অনলাইন সামাজিক মাধ্যমে ব্যবসা করতে হলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে নিবন্ধন বা বিজনেস ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর নিতে হবে।

রোববার (১৮ জুলাই) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত -কমার্স সংক্রান্ত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ব্যবসা করতে গেলে তাকে অবশ্যই বাধ্যতামূলক নিবন্ধন নিতে হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আমরা একটি সেন্ট্রাল নিবন্ধনের ব্যবস্থা রাখব। সেখান থেকে ইউনিক বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার নিতে হবে প্রত্যেককে। এটি সহজ একটি রেজিস্ট্রেশন প্রসেস হবে, অনলাইনের মাধ্যমে সবাই এই নিবন্ধন নিতে পারবে। এটি যখন সম্পূর্ণ হবে, রেজিস্ট্রেশনবিহীন যে কোম্পানিগুলো ব্যবসা করছে তা বন্ধ করে দেয়ার জন্য আমরা বিটিআরসিকে অনুরোধ করব।

সচিব আরও বলেন, ‘ফেসবুকের মাধ্যমে করা ব্যবসা নিয়ে খুব বেশি আলোচনা হয়নি। তবে সামগ্রিকভাবে এটি যাতে সরকারের তথ্যভাণ্ডারে থাকে কে কী ব্যবসা করছে, সেজন্য যারা ফেসবুকে ব্যবসা করবেন তাদেরকেও ইউনিক বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর নিতে হবে। আমাদের এই সিস্টেম তৈরি করতে একটু সময় লাগবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা সব জায়গায় বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দেব। প্রত্যেককে যে ইউনিক বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর নিতে হবে বা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধিত হতে হবে সে বিষয়টি সবাই যখন জানবেন, তখন আমরা এটা বাধ্যতামূলক করব।

তিনি আরও বলেন, ‘এতে সফটওয়্যারটা ডেভেলপ করতে হবে এবং প্রচার করতে হবে। সবাইকে এটা জানতে হবে। আমরা ব্যবসা বন্ধ হোক বা এটাকে সীমাবদ্ধ করতে চাই না। যথেষ্ট প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে সবাইকে সচেতন করে, তারপর একটি ইউনিক বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর, অর্থাৎ সরকারের সঙ্গে একটি নিবন্ধন যাতে উনি করতে পারেন তার ব্যবস্থা আমরা করব। যার জন্য আমাদের দু-এক মাস লাগবে।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘-কমার্স ব্যবসাকে কিভাবে শৃঙ্খলার মধ্যে আনা যায় সে বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। ধরনের ব্যবসা করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিজনেস পরিকল্পনা দিতে বলা হবে- এখন তারা যেটা ফলো করছেন, সেটা ফলো করে কিভাবে বিজনেস সাসটেইনেবল করবেন। তারা যে বিজনেস মডেল জমা দেবেন তা যদি বাংলাদেশের প্রচলিত ব্যবসা সংক্রান্ত যেসব আইন আছে তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

-কমার্সের প্রতাড়না প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি যদি প্রতারিত হন তাহলে তিনি প্রচলিত আইনে কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আদালত ঠিক করে দেবেন তিনি কীভাবে ক্ষতিপূরণ পাবেন। আদালত থেকে একটি নির্দেশনা আসতে হবে ভোক্তাদের অর্থ কিভাবে উদ্ধার করা যাবে। উনার (কোম্পানির) ব্যাংক হিসাবে যদি টাকা থাকে সেটা উদ্ধার করে ভোক্তাকে দিতে হলেও আদালতের নির্দেশনা লাগবে।

ইভ্যালি নিয়ে করা এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত দল ইভ্যালির ৬৫ কোটি টাকার সম্পদ তথ্য পেয়েছে। এর বাইরে উনার সম্পদ আছে কিনা আমরা এখনও জানি না। বাইরেও সম্পদ থাকতে পারে। বিষয়টি আরও অধিকতর তদন্ত চলছে বাংলাদেশ ব্যাংকে। আমার মনে হয়, সেই তদন্তে প্রকৃত সম্পদ কত আছে সেটা জানার পরে এটার ব্যবস্থা নেয়া যাবে। কারণ ব্যবসায়ী হোক অথবা ভোক্তা হোক উনি যদি প্রতারিত হন দেশে কিন্তু প্রতারণার জন্য পেনাল কোড অনুযায়ী আইনের আশ্রয় নিতে পারেন। আমরা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং জননিরাপত্তা বিভাগের আইনি ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেছি। আমরা জানি, দুদক কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে। জননিরাপত্তা বিভাগের কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা আমরা জানি না।

তরিকুল/এম. জামান

আর্কাইভ