• ঢাকা শনিবার
    ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কোন সময়ের শারীরিক সম্পর্ক স্বাস্থ্য ভালো রাখে

প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০২১, ১০:৪৫ এএম

কোন সময়ের শারীরিক সম্পর্ক স্বাস্থ্য ভালো রাখে

সিটি নিউজ ডেস্ক

শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন মানুষের অন্যতম একটি চাহিদা। সুস্থ, স্বাভাবিক শারীরিক সম্পর্কের ফলে দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়, মেদ কমে। শুধু তাই নয়, সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে এর ফলে বাড়ে আয়ু।

কেউ ঘুমাতে যাওয়ার আগে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে চান। আবার কেউ পছন্দ করেন ঘুম ভাঙার সময়। কিন্তু যৌন সম্পর্কের ইচ্ছার সময় নির্বাচন দিয়েও অনেক ক্ষেত্রে বোঝা যায় শরীরের অবস্থা। ইংল্যান্ডের স্নায়ু বিশেষজ্ঞ ন্যান ওয়াইজ তার গবেষণায় এমনি কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন।

গবেষণায় দেখা যায়, পুরুষেরা সাধারণত ঘুম ভাঙার সময়ে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে বেশি পছন্দ করেন। আর বেশির ভাগ মহিলার মধ্যে ঘুমতে যাওয়ার আগে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার ইচ্ছা বেশি থাকে। বয়সের বিচারে এই পছন্দ-অপছন্দের সময় নিয়ে ভেদাভেদ রয়েছে।

কম বয়সীরা রাতের দিকে এই ধরনের সম্পর্কে বেশি মাত্রায় লিপ্ত হতে চান। আর বয়স যত বাড়তে থাকে, ততই পছন্দের সময় ক্রমশ ভোরের দিকে চলে যেতে থাকে। এ বিষয়ে ৩টি আলাদা আলাদা সময় নিয়ে কথা বলা হয়েছে এই গবেষণায়।

ভোর : 
মানুষের বয়স যত বাড়ে তত তাড়াতাড়ি ঘুমানোর প্রবণতা আসে। সেই কারণেই বেশি বয়সের মানুষের মধ্যে ভোরে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার প্রবণতা দেখা দেয় বলে দাবি করা হয়েছে এই গবেষণায়। এ ছাড়াও দেখা গেছে, পুরুষদের মধ্যে ভোর থেকে সকাল ৮টা নাগাদ সবচেয়ে বেশি মাত্রায় টেস্টোস্টেরন হরমোনের ক্ষরণ হয়। এই হরমোন যৌন ইচ্ছা বাড়ানোর কাজ করে। তাই সকালের দিকে পুরুষের মধ্যে এই ইচ্ছা বাড়তে থাকে। ভোরের দিকে কোনো পুরুষের যৌন ইচ্ছার মাত্রা বেশি মানেই তার শরীরে টেস্টোস্টেরন ক্ষরণের মাত্রা ভালো। অর্থাৎ তার শরীর সব দিক থেকে সুস্থ। শুধু তাই নয়, যৌন সম্পর্কের ফলে এনডরফিনস বা ডোপামিনের মতো হরমোনের ক্ষরণও বাড়ে। যা মন ভালো রাখে।

গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, যৌন সম্পর্কের ফলে এক ধরনের ক্লান্তিও হয়। যারা সারা দিন খুব পরিশ্রম করে তাদের অনেকেই ভোরে যৌন সম্পর্কের কারণে আবার ঘুমিয়ে পড়তে বাধ্য হন।

রাত : 
যে সব মহিলাদের নিয়ে এই গবেষণা চালানো হয়েছে তাদের বেশির ভাগই বলেছেন, রাতে ঘুমানোর আগে শারীরিক সম্পর্ক তাদের বেশি পছন্দের। সারা দিন যাদের অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়, তাদের মধ্যে রাতে শারীরিক সম্পর্কে আগ্রহ বেশি। যৌন সম্পর্কের ফলে প্রোল্যাকটিন এবং অক্সিটোসিন নামে হরমোনের ক্ষরণ বেশি হয়। এই হরমোনগুলো ঘুম পাড়াতে সাহায্য করে।

গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, রাতে যারা যৌন সম্পর্কে বেশি উৎসাহ দেখান, তাদের অনেকেরই উদ্দেশ্য সাময়িক ক্লান্তি কাটানো এবং তার পরে ঘুমিয়ে পড়া। যারা সারা দিন মানসিকভাবে অনেকটা ব্যস্ততার মধ্যে কাটান তাদের পক্ষে দিনের শেষে যৌন সম্পর্কের সঙ্গে রোমান্টিকতাকে মেশানোর ক্ষমতা তুলনায় কমে আসে।

দুপুর : 
গবেষণায় দেখা যায় দুপুরেও শারীরিক সম্পর্ক করতে অনেকে পছন্দ করেন। শারীরিক সম্পর্কের অভ্যাস থেকে বেরতে অনেকেই এই সময়টা বেছে নেন বলে গবেষণার ফলাফলে বলা হয়।

কখন যৌন সম্পর্ক স্থাপন করলে শরীর ভালো থাকে? কোনটা উপযুক্ত সময়? আর কোনটাই বা খারাপ সময় এমন কোনো কিছু নির্দিষ্ট করে এই গবেষণার ফলাফলে উল্লেখ নেই। তবে পুরোপুরি শারীরিক সম্পর্ক না হলেও পরস্পরকে আদর, ছোট ছোট স্পর্শও কখনো কখনো অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে এবং সেগুলোও একই ধরনের হরমোনের ক্ষরণ ঘটায় বলে গবেষণায় জানানো হয়। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

মামুন/এএমকে
আর্কাইভ