• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

যেভাবে কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেবেন

প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২১, ০৪:২৩ পিএম

যেভাবে কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেবেন

তারিক ইসলাম

যেকোনো প্রতিষ্ঠানের জন্যই কর্মীদের মানোন্নয়ন করা সময়ের দাবি। এতে শুধু কর্মীরাই লাভবান হোন, তা নয়। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক উন্নয়নেও তারা বেশি বেশি ভূমিকা রাখতে পারেন। এ জন্য বিশেষজ্ঞরা দাবি করেন, নিয়মিত কর্মীর মানোন্নয়ন ছাড়া একটি প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন প্রায় অসম্ভব।

ক্রমবর্ধমান বিশ্বে প্রশিক্ষণ কিংবা মানোন্নয়ন কার্যক্রমেও এসেছে আমূল পরিবর্তন। এমনও দিন গেছে, যখন প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মীদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালাতো অন্যান্য কাজ বন্ধ করে। সঙ্গত কারণেই তখন প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন হ্রাস পেতো। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ ধারায় সংযোজন ও বিয়োজন হয়েছে অনেক কিছু। বিশেষ করে অনলাইন কর্মশালার আয়োজন এখন চোখে পড়ার মতোই। ফলে কর্মশালার জন্য প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত কার্যক্রম প্রভাবিত হয় না।

এমনই বেশকটি টিপস নিয়ে আজকের আয়োজন। যেখানে ধারণা দেয়া হবে প্রাতিষ্ঠানিক কর্মশালা ও কর্মীদের মানোন্নয়ন সংক্রান্ত বেশ কিছু নতুন তথ্য-

সংক্ষিপ্ত সময়ের কর্মশালা
আগেই বলা হয়েছে, একটা সময় দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন হতো। স্বাভাবিকভাবেই তখন প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব পড়তো। ফলে কর্মীদের পাশাপাশি আয়োজকদেরও এ ধরনের কর্মশালা আয়োজনে অনীহা তৈরি হতো। কিন্তু দিন বদলেছে। তাই কর্মকর্তাদের উচিত এখন কর্মীদের মানোন্নয়নের জন্য আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা। বিশেষ করে যাতে সময় নষ্ট না হয়, সে বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, কর্মশালার উদ্দেশ্য কর্মীদের মানোন্নয়ন করা, নতুন কিছু সৃষ্টিতে বাধা দেয়া নয়। কার্যতই অনলাইনে জুম বা গুগল মিটে স্বল্প সময়ের জন্য কর্মশালার আয়োজন করা যেতে পারে।

সুস্পষ্ট আলোচনা
বেশির ভাগ কর্মশালাগুলোতেই দেখা যায়, কাজের আলোচনার চেয়ে অকাজের আলোচনা বেশি হয়। কার্যত এ ধরনের কর্মশালায় কর্মী কিংবা প্রতিষ্ঠান কেউই লাভবান হয় না। ফলে কর্মশালায় আলোচনা হতে হবে নির্ধারিত ও সুস্পষ্ট। আন্তর্জাতিক মানসম্মত কর্মশালাগুলো এভাবেই হয়।

কর্মশালার লাভ-ক্ষতি
আমাদের দেশি প্রতিষ্ঠানগুলো কখনও কর্মশালার লাভ ক্ষতি নিয়ে পর্যবেক্ষণ করে না। ফলে এ ধরনের প্রশিক্ষণ থেকে কর্মীরা কী শিখলো, আর প্রতিষ্ঠানের বা কী উপকার হলো, সে বিষয় স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় না। যা বরাবরই একটি ভুল পদক্ষেপ। দীর্ঘদিনের এই রীতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। কার্যকর প্রশিক্ষণের মাধ্যমে, কর্মী ও প্রতিষ্ঠানের লাভের হার বাড়াতে হবে।

ডিজিটালাইজ ট্রেনিং
কর্মশালার নতুন সংস্করণ ‘ডিজিটালাইজ ট্রেনিং’র ধারণাটি শুরু হয়েছে বেশি দিন হয়নি। বিশেষ করে করোনা মহামারির সময় এই ধারণাটি আরও শক্তপোক্ত হয়েছে। এছাড়াও এখন অনেক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান তাদের পুরো কার্যক্রমই পরিচালনা করছে অনলাইনে। অর্থাৎ ওয়ার্ক ফ্রম হোম। এ ক্ষেত্রে ট্রেনিং কার্যক্রমও অনলাইনে পরিচালনা করতে হবে। একইসঙ্গে প্রতিটি কর্মীর লেপটপ, স্মার্টফোন নিশ্চিত করতে হবে। তবেই অনলাইন ট্রেনিংয়ের সুফল পাওয়া যাবে।

সবুজ/নির্জন
আর্কাইভ