• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সন্তান নিয়ে ১ বছর কারাভোগের পর ছাড়া পেলেন নিরাপরাধ টুম্পা

প্রকাশিত: জুন ৩০, ২০২২, ১০:৫৯ এএম

সন্তান নিয়ে ১ বছর কারাভোগের পর ছাড়া পেলেন নিরাপরাধ টুম্পা

সিটি নিউজ ডেস্ক

চেক জালিয়াতি মামলায় এক বছর কারাভোগের পর যমজ সন্তান নিয়ে মুক্ত হয়েছেন বরিশালের টুম্পা বাড়ৈ। তিনি বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন, কারাগারে থাকাকালীন সময় তিনি জমজ সন্তান প্রসব করেন। দুই সন্তান সাগর ও সাগরিকা তার সঙ্গে কারাগারে ছিল এক বছর।

বুধবার (২৯ জুন) দুপুরে মুক্ত হওয়ার পর অপরাধ সংশোধন এবং পুনর্বাসন সমিতির পক্ষ থেকে এই দুই শিশুর জন্য আর্থিক সহায়তা এবং তাদের মা টুম্পা বাড়ৈকে একটি সেলাই মেশিন দেন জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার। টুম্পা বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের হৃদয় পান্ডের স্ত্রী।

বরিশাল সমাজসেবা অধিদফতরের জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের প্রবেশন কর্মকর্তা সাজ্জাদ পারভেজ জানান, পাঁচ লাখ টাকার চেক জালিয়াতির মামলায় ২০২১ সালের ৩০ জুন কারাগারে যান টুম্পা। পরে প্রমাণিত হয় ওই চেকটিতে বাদী ষড়যন্ত্র করে টুম্পার কাছ থেকে স্বাক্ষরটি আদায় করে। বিষয়টি আদালত শতভাগ নিশ্চিত হয়ে তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেন।

তিনি জানান, কারাগারে থাকা অবস্থায় টুম্পা যমজ শিশুর জন্ম দেন। ছেলের নাম রাখা হয় সাগর এবং মেয়ের নাম সাগরিকা। বর্তমানে তাদের বয়স ১১ মাস। মায়ের সঙ্গে তারাও কারাগারে ছিল।

ওই সময় টুম্পা সেলাই মেশিনের কাজ শেখেন। তিনি এখন ভালোভাবে মেয়েদের পোশাক বানাতে পারেন। তার মুক্তির খবর পেয়ে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে তার যমজ শিশুদের জন্য আর্থিক সহায়তা এবং তার জন্য সেলাই মেশিনের ব্যবস্থা করা হয়। মুক্ত হওয়ার দুই ঘণ্টার মধ্যে টুম্পাকে এসব সহায়তা দেওয়া হয়। এ সময় তার স্বামী হৃদয় পান্ডেও উপস্থিত ছিলেন। বাড়ি গিয়ে সেলাই মেশিনে কাপড় সেলাই করবেন টুম্পা, আর তার স্বামী তাকে সহায়তা করবেন।

বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, অপরাধ সংশোধন এবং পুনর্বাসন সমিতির মাধ্যমে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতি ও কয়েদিদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। যাতে করে তারা মুক্ত হয়ে আত্মনির্ভরশীল হতে পারে।

এভাবে বহু হাজতি ও কয়েদি বর্তমানে অপরাধ থেকে সরে ভালোভাবে জীবনযাপন করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় টুম্পাকেও আর্থিক সহায়তাসহ একটি সেলাই মেশিন দেয়া হলো।

আরআই/এএল
আর্কাইভ