• ঢাকা শুক্রবার
    ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পণ্য পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা, লিথুয়ানিয়াকে হুমকি রাশিয়ার

প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২২, ০৬:০৭ এএম

পণ্য পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা, লিথুয়ানিয়াকে হুমকি রাশিয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইউরোপের বাল্টিক অঞ্চলের দেশ লিথুয়ানিয়া তার নিজ ভূখণ্ডের ভেতর দিয়ে রুশ ভূখণ্ড কালিনিনগ্রাদে পণ্য পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় দেশটিকে সতর্কবার্তা দিয়েছে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদ। খবর বিবিসির।

পরিষদের প্রধান নিকোলাই পাত্রুশেভ এ সম্পর্কে বলেছেন, লিথুয়ানিয়ার এই পদক্ষেপ ‘নজিরবিহীন’ ও ‘বেআইনি’। তিনি আরও বলেছেন, রাশিয়া অবশ্যই এ ধরনের শত্রুতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

বাল্টিক সাগরের তীরবর্তী ছোট একটি রুশ প্রদেশ কালিনিনগ্রাদ। রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে এই প্রদেশটির কোনো সংযোগ নেই। প্রদেশটির সীমান্তের চতুর্দিকে ঘিরে আছে অপর দুই বাল্টিক দেশ পোল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়া।

তবে বাল্টিক সাগরে রাশিয়ার নিরাপত্তা ও আধিপত্য বজায় রাখতে কৌশলগতভাবে কালিনিনগ্রাদ গুরুত্বপূর্ণ। রুশ নৌবাহিনীর বাল্টিক শাখার সদর দপ্তর এই কালিনিনগ্রাদে। বাল্টিকে নিজেদের সমুদ্রসীমায় ন্যাটো ও অন্যান্য বৈরীভাবাপন্ন শক্তির অনুপ্রবেশ ঠেকাতে একসময় কালিনিনগ্রাদে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র ইস্কান্দার ব্যালেস্টিক মিসাইল মোতায়েন রেখেছিল রাশিয়া।

দেশটির সঙ্গে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের সংযোগ না থাকায় এতদিন লিথুয়ানিয়ার ভেতর দিয়ে রেলপথে জরুরি বিভিন্ন পণ্য যেত কালিনিনগ্রাদে; কিন্তু শনিবার তাতে নিষেধজ্ঞা দিয়েছে লিথুয়ানিয়ার সরকার।

মঙ্গলবার কালিনিনগ্রাদ সফরে গিয়ে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান নিকোলাই পাত্রুশেভ বলেন, ‘রাশিয়া অবশ্যই এই শত্রুতামূলক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। যদি অবিলম্বে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করা হয়, সেক্ষেত্রে লিথুয়ানিয়াকে তার পরিণতি ভুগতে হবে।’

এ সম্পর্কিত এক বিবৃতিতে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘কালিনিনগ্রাদ এবং রুশ ফেডারেশনের বাকি অংশের সঙ্গে মালবাহী রেল চলাচল সম্পূর্ণভাবে শুরু করা না হলে জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য রাশিয়ার পদক্ষেপ গ্রহণের অধিকার রয়েছে।’

এদিকে, লিথুয়ানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েলিয়াস ল্যান্ডসবার্গিস এ বিষয়ে বলেছেন, ‘এখানে লিথুয়ানিয়া নিজেরা কিছু করছে না। এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন যা ১৭ই জুন থেকে কার্যকর হওয়া শুরু হয়েছে।’

‘ইউরোপিয়ান কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে এই কমিশনের গাইডলাইন অনুসারেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে,’ বলেন তিনি।


সাজেদ/
আর্কাইভ