প্রকাশিত: মে ১৮, ২০২২, ১১:৩৭ পিএম
কুড়িগ্রামের
ভুরুঙ্গামারীর পাঁচটি ইউনিয়নের কিছু এলাকায় কালবৈশাখী ঝড়ে দুই শতাধিক বসতবাড়ি, গাছপালা ও বোরো ধানক্ষেতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। এতে
হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
বুধবার
(১৮ মে) ভোর ৪টার দিকে ভুরুঙ্গামারী সদর, পাইকেরছড়া, চর ভুরুঙ্গামারী, শিলখুড়িসহ বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকায় হঠাৎ বৃষ্টির সঙ্গে
এই কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাত শুরু হয়। যা প্রায় ঘন্টাব্যাপী চলমান
থাকে।
ঝড়ের তাণ্ডবে দুই শতাধিক বসতবাড়ি, গাছপালা, বোরো ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক স্থানে গাছ উপড়ে বৈদ্যুতিক তারের ওপর পড়া ও বৈদ্যুতিক সিড়ি পড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে করে দুর্ভোগে রয়েছেন ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।
স্থানীয়
সাংবাদিক মেসবাহুল জানান, ভোররাতে হঠাৎ তার পাইকেরছড়া গ্রামে কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাত শুরু হয়।
ঝড়ে তার গ্রামের রব্বানী, আমিনুল ও জলিলের বসতঘর ভেঙে
পরাসহ বেশ কিছু বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও এলাকার
কয়েকটি স্থানে গাছ বৈদ্যুতিক তারের ওপর উপড়ে পড়া ও বৈদ্যুতিক সিড়ি পড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে বলে তিনি জানান।
পাইকেরছড়া
ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড সদস্য আবু সাহাদাত
মো. বজলুর রহমান বলেন, ‘ভোররাত ৪টার দিকে শুরু হওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে আমার
ওয়ার্ডের ২০-২৫টি পরিবারের বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অনেক স্থানে গাছপালা উপড়ে পড়েছে। ঝড় ও বৃষ্টিতে অন্তত ১শ
একর জমির পাকা ও আধাপাকা বোরো ধানক্ষেত হেলে পড়াসহ পানিতে
তলিয়ে গেছে।’
শিলখুড়ি
ইউনিয়নের ধলডাঙ্গা বাজার এলাকার আব্দুর রহিম জানান,
কালবৈশাখী ঝড়ে তার এলাকার বেশ কিছু বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক স্থানে গাছপালা উপড়ে পড়ে রয়েছে।
একই
ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ শামছুল হক জানান, ঝড়ে তার
শালদোর গ্রামের বেশ কিছু বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্তসহ গাছপালা
উপড়ে পড়েছে৷ এছাড়াও আনুমানিক
১শ-দেড়শ বিঘা জমির বোরো ধানক্ষেত বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে।’
পাইকেরছড়া
ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুর
রাজ্জাক সরকার বলেন, ‘ভোররাতে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে আমার ইউনিয়নের প্রায় ১শ পরিবারের বসতবাড়ি
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়াও দেড়শ থেকে দুইশ একর জমির বোরো ধানক্ষেত পানিতে তলিয়ে
গেছে। বিভিন্ন সড়কে গাছ উপড়ে পড়ায় সেগুলো কর্তন করছে স্ব
স্ব কর্তৃপক্ষ। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় মেরামতে কাজ করছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
ঝড়ের বিষয়টি ইউএনও স্যারকে জানানো হয়েছে।
চর
ভুরুঙ্গামারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক (ইউপি) চেয়ারম্যান এটিএম ফজলুল হক জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে তার দুটি বসতঘর ভেঙে গেছে। একটি ঘরের উড়ে যাওয়া চাল এখনও খুঁজে পাননি। এ ছাড়াও
ইউনিয়নের আনুমানিক ৫০টি বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্তসহ গাছপালা
ভেঙে পরেছে।
এবিষয়ে
জানতে ভুরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপক কুমার দেব শর্মার
মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হয়, কিন্তু তিনি কল
রিসিভ করেননি।
এএমকে