প্রকাশিত: মে ১৮, ২০২২, ১০:৫২ পিএম
টাঙ্গাইলের
মির্জাপুর উপজেলায় এক নারী বিচার চেয়ে পুলিশ
কর্মকর্তা স্বামীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বুধবার
(১৮ মে) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে তিনি এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
ওই
নারী উপজেলার আগ ছাওয়ালী গ্রামের সরোয়ার মিয়ার মেয়ে সোনিয়া আক্তার। তার স্বামী
কবির হোসেন (পুলিশ আইডি, বিপি নং ০০২০২২৯২৭২)। তিনি
বর্তমানে মিরপুর-১৪ পুলিশ লাইন্সে কর্মরত আছেন। ওই পুলিশ কর্মকর্তা টাঙ্গাইলের
ধনবাড়ী উপজেলার আমনগ্রাম এলাকার মোতালেব মিয়ার ছেলে।
সংবাদ
সম্মেলনে সোনিয়া আক্তার বলেন, “কয়েক মাস যাবত
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কবিরের সঙ্গে আমার কথা
হয়। এরপর ওই বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি আমাদের ঢাকায় বিয়ে
হয়। বিয়ের পর থেকে কবির আমার ওপর চালাতে থাকে নির্মম অত্যাচার। পরে সে টাকা
দাবি করে। এ পর্যন্ত কবির আমার কাছ থেকে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা নিয়েছে। এখন কবির আমার সঙ্গে যোগাযোগ
বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। সে আমার বাবাকে ফোন দিয়ে বলেছে, ‘যদি সাত লাখ টাকা দিতে পারেন তাহলে আপনার
মেয়েকে নিয়ে আমি সংসার করব।’ কবিরের আগে বিয়ে ছিল-এ কথা
গোপন রেখে সে আমাকে বিয়ে করে।
আমি কবিরের কঠিন বিচার চাই। কবিরের বিরুদ্ধে তার কর্মরত থানায় অভিযোগ দায়ের করব
অতি শিগগিরই।”
সোনিয়া
আক্তারের মা নাজমা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ের সঙ্গে কবির প্রতারণা করেছে। তাই কবিরের কঠিন
বিচার দাবি করছি।’
সোনিয়া আক্তারের বাবা সারোয়ার মিয়া বলেন, ‘পুলিশ মানুষের নিরাপত্তা দেয়। আর সেখানে কবির আমার মেয়ের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। কবিরের পুলিশে থাকা মানায় না, কবিরের কঠিন বিচার চাই।’
সোনিয়া
আক্তারের ছোট ভাই মিরাজ বলেন, ‘আপুর সঙ্গে যা হয়েছে তা সম্পূর্ণ বেয়াইনিভাবে হয়েছে। এর
সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’
এ
বিষয়ে অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল কবির হোসেন মুটোফোনে জানান, এ বিষয়ে এখন কথা বলতে পারবো না, পরে কথা বলবো।’ এই বলে কল কেটে দেন।
সংবাদ
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলাসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক
মিডিয়ার সংবাদ কর্মীরা।
এএমকে/এএল