• ঢাকা শুক্রবার
    ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বয়স ১৯, দেখতে ৬ বছরের শিশু!

প্রকাশিত: মে ১৮, ২০২২, ১১:১৮ এএম

বয়স ১৯, দেখতে ৬ বছরের শিশু!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রথম দেখায় মনে হতে পারে তার বয়স কতই বা হবে, পাঁচ কিংবা ছয়। ওই বয়সী শিশুদের মতোই হাসছে, কথা বলছে সে। তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো, তার আসল বয়স ১৯ বছর। প্রথমে এ কথা কেউই বিশ্বাস করতে চায় না। তবে আবলি জারিত নামের এই তরুণীর জন্ম হয়েছে ২০০৩ সালে।

 ভারতের নাজাপুরের বাসিন্দা আবলি জারিত। তার উচ্চতা মাত্র ৩ ফুট ৪ ইঞ্চি। ছোটবেলায় আবলির রেনাল রিকেট রোগ ধরা পড়ে। এ ছাড়াও আবলি মূত্রাশয় ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এ জন্য তাকে সব সময় ডায়াপার পরিয়ে রাখা হতো। ধীরে ধীরে তার শরীরের হাড়ও দুর্বল হতে থাকে।

ফলে তার হাড়ের বৃদ্ধি থেমে যায়। এ জন্য আবলি কখনও হাঁটতেও পারেনি। একবার হাঁটার চেষ্টা করেছিলেন। তবে পড়ে গিয়ে আরও আহত হয়েছিলেন। এরপর আর কখনও হাঁটার সাহস করেননি। ১৯ বছর ধরে আবলি যেমন সংগ্রাম করে যাচ্ছেন জীবন নিয়ে। তেমনি তার পরিবারের বাকিরাও আবলিকে সুস্থ রাখতে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন।

আবলি গান গাইতে ভালোবাসেন। এমনকি ভালো গানও করেন তিনি। ভারতের সবচেয়ে বড় গানের রিয়েলিটি শো ইন্ডিয়ান আইডলেও অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। এ ছাড়াও আবলি অভিনয় করতেও ভালোবাসেন। তিনি গায়িকার সঙ্গে নায়িকাও হতে চান। তার ইচ্ছা হলিউড ও বলিউডে কাজ করার।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আবলি জারিত খুবই জনপ্রিয়। তার ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ারের সংখ্যা ৬ হাজার। সবাই তার শিশুসুলভ চেহারাটি পছন্দ করেন। তার গানও পছন্দ করেন অনুসারীরা।

আবলির মতে, এই রোগে খুব কম মানুষই বাঁচতে পারেন। তার মধ্যে যে তিনি আছেন এ জন্য নিজেকে ভাগ্যবতী মনে করেন। এর কোনো সঠিক চিকিৎসা না থাকায় তার কখনোই সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে তিনি এই জীবনকে উপভোগ করে যাচ্ছেন। ঘর থেকে বাইরে যাওয়ার সময়ই তার শুধু খারাপ লাগে। এর কারণ, একা চলাফেরা করতে না পারায় তাকে নিতে হয় অন্যের সাহায্য।

আবলির মা বনিতা, বাবা বিজয় সব সময় তার দেখাশোনা করেন। আবলি বিরল রোগ নিয়ে জন্ম নিলেও তার অন্য ভাইবোনেরা পুরোপুরি সুস্থ। আবলির অন্যান্য আত্মীয় স্বজনেরাও তাকে ভালোবাসেন এবং যত্ন নেন।

তবে শুধু আবলিই নন, এমন আরও অনেক মানুষ আছেন পৃথিবীতে। ডেনিস ভাশুরিন নামের ৩৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তি বিরল রোগে আক্রান্ত হন। ১৪ বছর বয়সের পর তার শারীরিক বিকাশ থেমে যায়। ঝুং শেনকাই নামের এক চীনা ব্যক্তি মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ার পর তার বৃদ্ধি থেমে গিয়েছিল। ২৫ বছর বয়সের পর আর তার শারীরিক এবং মানসিক বিকাশ হয়নি।

এইচএ /এএল




আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ