প্রকাশিত: মে ১৫, ২০২২, ০২:২৯ এএম
লক্ষ্মীপুরের
মাটি সয়াবিন চাষের জন্য বেশ উপযোগী।
তবে বিগত কয়েক বছর ধরে
সেখানকার আবহাওয়া
সয়াবিন চাণে অনুপোযোগী হয়ে উঠেছে। সয়াবিন চাষ
ব্যাহত হওয়ার কারণ অসময়ের
বৃষ্টি কিংবা অতিবৃষ্টি। চাষিরা সয়াবিন ঘরে তোলায় আগে
ক্ষেতেই সব নষ্ট হয়ে
যাচ্ছে। এ ছাড়া সয়াবিনের বীজ বপনের সময়েও
এমন বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়েছে
তাদের।
গত
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে সয়াবিন
ক্ষেতে পানি জমে থাকায়
আধাপাকা সয়াবিন পচে গেছে। ফলে
লোকসানের কবলে পড়তে হচ্ছে
কৃষকদের।
কমলনগরের চর মার্টিন এলাকার কয়েকজন কৃষক জানান, সয়াবিনের বীজ বপনের কয়েকদিনের মাথায় বৃষ্টি হয়েছে। এতে কিছু বীজ থেকে চারা গজায়নি। পরে পুনরায় বীজ বপন করতে হয়েছে। তারা বলেন, ‘ফসল ঘরে তোলার আগে আবারও বৃষ্টির পানিতে ক্ষেতে থাকা আধাপাকা সয়াবিন নষ্ট হয়ে গেছে। গত কয়েক বছর থেকে আবহাওয়ার এমন বিরূপ প্রভাবের কারণে লোকসানের কবলে পড়ছে কৃষক।’
ভবানীগঞ্জ
ইউনিয়নের চর উভূতি গ্রামের
কৃষক আলী হোসেন বলেন,
‘দেড় একর জমিতে সয়াবিন
চাষ করেছি। পুরোপুরি পুষ্ট না হতেই এবং
পাকার আগেই বৃষ্টি শুরু
হয়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে
জমিতে পানি জমে যায়।
জমে থাকা পানিতে গাছ
মরে গেছে। এতে আশানুরূপ ফলন
পাবো না।’
চর
আলী হাসান গ্রামের কৃষক নুর আলম
বলেন, ‘৪০ শতাংশ জমির
সয়াবিন এখন পানিতে। তবে
সয়াবিনগুলো পুষ্ট হয়েছে। পাকার অপেক্ষায় আছি। বৃষ্টির পানি
দ্রুত না শুকালে গাছ
মরে সয়াবিন নষ্ট হয়ে যাবে।
পাকা সয়াবিনে পানি লাগলে সেগুলোর
রঙ বিবর্ণ হয়ে যায়। বাজারে
দাম পাওয়া যায় না।’
লক্ষ্মীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘এবার সয়াবিনের ফলন ভালো হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বৃষ্টি হওয়ায় ক্ষেতে থাকা ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কৃষকদের দ্রুত সয়াবিন কেটে ফেলার পরামর্শ দিচ্ছি। এ ছাড়াও মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে, তারা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করেন। সরকারিভাবে প্রণোদনা এলে তাদেরকে এর আওতায় আনা হবে।’
এএমকে