প্রকাশিত: মে ১৪, ২০২২, ১২:২৪ এএম
সামান্য
বৃষ্টি হলেই নগরীর কুচাইতলীতে
অবস্থিত কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রাঙ্গণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি
হয়। কুমিল্লা জেলার ১৭টি উপজেলা থেকে
৫০০ শয্যা বিশিষ্ট কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগীরা
চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন।
তা ছাড়া সেবার মান ভালো হওয়ার
কারণে আশপাশের অন্যান্য জেলা থেকেও রোগীরা
এখানে চিকিৎসা নিতে আসেন।
ভাড়ী
বৃষ্টি হলে বৃষ্টির পানি
সরতে এক দিন লেগে
যায়। যার কারণে এডিস
মশার লাভার সম্ভাবনা থেকে যায়। কিন্তু
সামান্য বৃষ্টিপাত হলেই কুমেক হাসপাতালে
পানি জমে জলাবদ্ধতা হওয়ার
কারণে রোগীদের বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। জলাবদ্ধতার মাঝে অ্যাম্বুলেন্স
থেকে রোগীদের ট্রলিতে করে হাসপাতালে নিতে
কষ্ট হয়।
কুমেক
হাসপাতালে যাতায়াতের জন্য একমাত্র রাস্তা
হওয়ার কারণে এখান দিয়ে রোগী
ও রোগীর স্বজনদের পানি ঠেলে হাসপাতালে
যেতে হয়। হাসপাতালের সামনে
জলাবদ্ধতার কারণে এখানে পানিবাহিত রোগ ডেংগু ও
ডায়রিয়াসহ নানা ধরনের রোগে
আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
সরেজমিনে
হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়,
বৃহস্পতিবার সকালের বৃষ্টির পানি শুকবার বিকাল ৩টায়ও সরেনি। রোগীদের
আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাসপাতালে
অল্প বৃষ্টি হলে পানি জমে
থাকে। অ্যাম্বুলেন্স বা ব্যাটারিচালিত অটো
ও সিএনজিসহ অন্যান্য যানবাহন থেকে পানির মধ্য
দিয়ে রোগীকে ট্রলিতে তুলতে কষ্ট হয়। যার
কারণে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীদের
ভোগান্তি আরও বেড়ে যায়।
কুমেক
হাসপাতালের সামনে বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার কথা স্বীকার করেন
হাসপাতালের পরিচালক
ডা. মহিউদ্দীন। তিনি মুঠোফোনে বলেন, ‘বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের প্রয়োজনীয়
ব্যবস্থা না থাকায় এখানে
আসা রোগীদের ও তাদের আত্মীয়-স্বজনদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে
হয়। শুধু তাই নয়,
পানি ভেঙে ডাক্তারদের আসতেও
বেগ পেতে হয়। পানি
নিষ্কাশনের জন্য বড় ধরনের
মাস্টারপ্লান করতে হবে। তা
না হলে রোগীদের আসা-যাওয়ার প্রধান সড়কটি এবং কুমেক হাসপাতালের
নতুন ভবনের সামনেও বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি
হবে। হাসপাতাল থেকে সড়কটি উচুঁ
হওয়ার কারণে এখানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় বলে তিনি
জানান।
এএমকে