• ঢাকা শুক্রবার
    ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আ.লীগের কার্যনির্বাহী সভা কাল, আসতে পারে যেসব সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত: মে ৬, ২০২২, ১১:৪৪ পিএম

আ.লীগের কার্যনির্বাহী সভা কাল, আসতে পারে যেসব সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দীর্ঘদিন পর শনিবার (৭ মে) বসছে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভা। এতে জাতীয় সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাঠপর্যায়ের প্রস্তুতি ও সমসাময়িক জাতীয়-আন্তর্জাতিক বিষয়ে আলোচনাসহ সাংগঠনিক বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভা। এতে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করবেন। সভার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে শুক্রবার (৫ মে) আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির কার্যালয়ে নেতাদের করোনা টেস্ট করানো হয়েছে। যাদের রিপোর্ট নেগেটিভ আসবে, কেবল তারা সভায় অংশ নিতে পারবেন।

ইতোমধ্যে নেতাদের কাছে সভার আলোচ্যসূচিসহ দাওয়াতপত্র পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সভার আলোচ্যসূচির মধ্যে রয়েছে শোকপ্রস্তাব পাঠ, ১৭ মে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ও ১১ জুন কারামুক্তি দিবস, ২৫ মে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী, ৭ জুন ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস, ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, ৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী, ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, সমসাময়িক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়, সাংগঠনিক ও বিবিধ।

আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, করোনা মহামারি কাটিয়ে এই প্রথম বড় পরিসরে কার্যনির্বাহী সংসদের সভা হচ্ছে। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, দলের আসন্ন জাতীয় সম্মেলন ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীসহ নানা কারণে এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এতে দলের আসন্ন সম্মেলনের তারিখ বিষয়ে আলোচনা হবে। জেলা-উপজেলা শাখাগুলোর সম্মেলন হয়েছে কি না, সাংগঠনিক সম্পাদকদের কাছ থেকে এ রিপোর্ট নেবেন দলীয় সভাপতি। যেসব জেলায় দলীয় কোন্দল, সেগুলো সমাধানে কথা বলবেন। এ ছাড়া বিভিন্ন জেলা শাখার নেতাদের অব্যাহতি ও বহিষ্কারের সুপারিশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

তারা বলছেন, ইতোমধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে- এমন সহযোগী সংগঠনগুলোর সম্মেলন আয়োজনের বিষয়ে এ বৈঠকে কথা হবে। সংগঠনগুলোর বিভিন্ন ইতিবাচক ও নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা উঠতে পারে। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনসহ বেশ কিছু স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে।

বৈঠক সম্পর্কে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ’আওয়ামী লীগ এদেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। ক্ষমতায় থাক বা না থাক এটি এমন একটি দল যা দেশের বিভিন্ন জাতীয় ইস্যু নিয়ে সব সময় অ্যাকটিভ থাকে। আমাদের সম্মেলন একটা রুটিন কাজ। তিন বছর পর পর সম্মেলন করি। সম্মেলনের জন্য যেসকল প্রস্তুতি দরকার ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্র আপডেট করে যুগোপযোগী করার কাজ চলছে। সম্মেলনে দলের কাউন্সিলররা নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করবে।’

দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্মেলনের তারিখ বলে দিয়েছেন। তিনি আমাদের দলের মুখপাত্র। আমাদের দলের সভানেত্রী অতি দ্রুত ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা শাখাগুলোর সম্মেলন করার নির্দেশনা দিয়েছেন। এ বিষয়ে সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। মেয়াদোত্তীর্ণ সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন নিয়েও সিদ্ধান্ত আসবে।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ‘ছয়মাস পরে দলের কার্যনির্বাহী সংসদের সভা হচ্ছে। সামনে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ দিবস আছে। এসব দিবসের কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে। পাশাপাশি সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনা হবে।’

দলের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া জানিয়েছেন, সভায় নির্ধারিত এজেন্ডার বাইরেও সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকারের কিছু নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে মাঠপর্যায়ে সাংগঠনিক প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হবে।

আর্কাইভ