প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০২২, ০৪:৪৬ পিএম
প্রকৃতির
নিয়মে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বয়স বাড়তে থাকে।
বয়স হলে চেহারায় তার
ছাপ পড়ে। অথচ বয়সকে হাতের
মুঠোয় বন্দি রাখতে চায় সবাই। তবে তার জন্য জীবনযাত্রার
পরিবর্তনের সঙ্গে খাদ্যভাস অতন্ত্য গুরুত্বপূর্ণ। কিছু খাবার বয়সকে
ধরে রাখতে তথা বয়সের ছাপকে
প্রতিহত করতে কাজ করে।
জেনে নিন এমন কয়েকটি খাদ্য
উপাদান সম্পর্কে।
শাকসবজি : গাঢ় সবুজ রঙের শাকসবজিতে আছে প্রচুর খনিজ উপাদান। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন এ, সি এবং ই। এগুলো কোলাজেন তৈরির জন্য দরকার। তাই খাদ্যতালিকায় শাক, বিশেষ করে পালংশাক, ব্রকলি, বাঁধাকপি, শালগম ও শিমজাতীয় সবজি রাখুন।
গাজর
: গাজরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে, যা
ক্ষতিগ্রস্ত ত্বককে কোলাজেন তৈরি করতে সাহায্য
করে। এর পাশাপাশি মিষ্টি
আলু, অ্যাপ্রিকটের (কমলা রঙের ফল),
বাঙ্গি এবং আমও খাওয়া
যেতে পারে।
টমেটো : টমেটোতে প্রচুর লাইকোপিন থাকে। এটি ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করে। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ত্বকের কোলাজেন ভেঙে দেয়। এর ফলে বলিরেখা দেখা দেয় না। ত্বক থাকে টানটান ও মসৃণ।
সামুদ্রিক
মাছ : সামুদ্রিক মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড
ও ভিটামিন ডি ত্বককে কোমল
ও হাড় মজবুত রাখতে
সাহায্য করে। তাই সম্ভব
হলে সপ্তাহে অন্তত দুদিন সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার পরামর্শ
দেন স্কিন স্পেশালিস্টরা।
রসুন ও কাঁচা হলুদ : রসুন উচ্চ সালফার যুক্ত মসলা, এটি কোলাজেনের ভেঙে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। আর হলুদকে বলা হয় পাওয়ার হাউস বা শক্তিঘর। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পানির সঙ্গে কয়েক টুকরা কাঁচা রসুন ও হলুদ খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, ত্বকও হয় মসৃণ।
লেবু
: ত্বকের বলিরেখা ও ক্ষত দূর
করতে লেবুর কোনও জুড়ি নেই।
প্রতিদিন সকালে চিনি ছাড়া এক
গ্লাস লেবুর রস খেলে কিন্তু
ত্বক সজীব থাকে।
কাঠবাদাম : কাঠবাদামে প্রচুর ভিটামিন ই, সি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। তাই তো বিশেষজ্ঞরা ৩০ বছর বয়সের পর নিয়মিত পাঁচ-ছয়টি করে কাঠবাদাম খাদ্যতালিকায় রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
ডার্ক
চকলেট : এর মধ্যে রয়েছে
ক্যাফেইন এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট।
যা চেহারায় বয়সের ছাপ পড়তে দেয়
না। এটি এনার্জি বুস্ট
করে। তাই মিষ্টির বদলে
ডার্ক চকলেট খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
কিউই ও বেরি : কিউই ও বেরিজাতীয় ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। ভিটামিন সি অ্যামাইনো অ্যাসিড প্রোলিন ও গ্লাইসিনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে হাইড্রোক্সিপ্রোলিন তৈরি করে। এটি কোলাজেনের ভেঙে যাওয়া রোধ করে।
বিটরুট
: বিটরুটের ভিটামিন এ, সি, পটাসিয়াম
ও সুপার অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ত্বকের মৃত কোষকে দূর
করে ত্বক পরিষ্কার রাখে,
ত্বকের ছিদ্রগুলো মেরামত করে। প্রতিদিন ৫০০
মিলি বিটরুটের জুস পান করলে
বা সালাদ হিসেবে বিটরুট খেলে ত্বক ভালো
থাকে।
এএমকে/এএল