প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০২২, ১১:৫১ পিএম
তসলিমা
নাসরিন বাংলাদেশের একজন বিতর্কিত লেখক।
যিনি অনেকদিন ধরেই ভারতে নির্বাসিত।
তবে তিনি সেখানে থেকেও
বাংলাদেশের বিভিন্ন ইস্যুতে ফেসবুকে বেশ সরব থাকেন।
তবে আজ (১৮ জানুয়ারি)
তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেখা গেছে- 'রিমেমবারিং
তসলিমা নাসরিন'। যার অর্থ
তিনি মারা গেছেন! আর
তার প্রোফাইলে ১৬ ঘণ্টা আগে
শেষ পোস্ট করা হয়েছে।
এদিকে টুইটারে তিনি হতাশা প্রকাশ করে একটি টুইট করেছেন। যেখানে তিনি ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে ম্যানশন করে জানিয়েছেন, তিনি বেঁচে আছেন? তবুও কেন এমন ঘটল? তাও তিনি জানতে চেয়েছেন।
তবে এর আগে তিনি তার ফেসবুকে মৃত্যু নিয়ে সর্বশেষ যে পোস্টটি দিয়েছিলেন সেটিও ১৯ ঘণ্টা আগে। যেখানে তিনি লিখেছেন, আমি চাই আমার মৃত্যুর খবর প্রচার হোক চারদিকে। প্রচার হোক যে আমি আমার মরণোত্তর দেহ দান করেছি হাসপাতালে, বিজ্ঞান গবেষণার কাজে। কিছু অঙ্গ প্রতিস্থাপনে কারও জীবন বাঁচুক। কারও চোখ আলো পাক। প্রচার হোক, কিছু মানুষও যেন প্রেরণা পায় মরণোত্তর দেহ দানে।
পাশাপাশি
তিনি আরও লেখেন- ‘অনেকে
কবর হোক চান, পুড়ে
যাক চান। কেউ কেউ
চান তাদের শরীরের পোড়া ছাই প্রিয়
কোনো জায়গায় যেন ছড়িয়ে দেয়া
হয়। কেউ কেউ আশা
করেন, তাদের দেহ মমি করে
রাখা হোক। কেউ আবার
বরফে ডুবিয়ে রাখতে চান তার দেহ।
যদি ভবিষ্যতে প্রাণ দেয়ার পদ্ধতি আবিষ্কার হয়!’
তিনি
উল্লেখ করেন, অসুখ-বিসুখে আমি
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের ওপর নির্ভর করি
এবং জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত
করব। কোনো প্রাচীন চিকিৎসা
পদ্ধতিতে আমার বিন্দুমাত্র বিশ্বাস
নেই। ঠিক যেমন বিশ্বাস
নেই কোনো কুসংস্কারে। জীবনের
একটি মুহূর্তেরও মূল্য অনেক। তাই কোনো মুহূর্তই
হেলায় হারাতে চাই না।
সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘মরার পর আমরা কিন্তু কোথাও যাই না। পরকাল বলে কিছু নেই। পুনর্জন্ম বলে কিছু নেই। মৃত্যুতেই জীবনের সমাপ্তি। আমার জীবন আমি সারা জীবন অর্থপূর্ণ করতে চেয়েছি। মৃত্যুটাও চাই অর্থপূর্ণ হোক।’
এদিকে
উইকিপিডিয়াতে দেখা গেছে, তার
জন্ম ২৫ আগস্ট ১৯৬২
দেখালেও সেখানে মৃত্যুর কথা কিছু উল্লেখ
নেই।
এমএএন/এম. জামান