প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৩, ২০২১, ০৮:৪৬ পিএম
রাজশাহীর দুর্গাপুরে হত্যা মামলায় এক পরকীয়া জুটির
ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর
১২টায় জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল ও
বিশেষ দায়রা জজ আদালত-২
রাজশাহীর বিচারক আকবর আলী শেখ
এই রায় দেন। একই
সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্তদের ৫০ হাজার টাকা
করে জরিমানা করা হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ
প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মফিজ উদ্দিন
(৪৫) ও তার প্রেমিকা
ফুলজান বিবি (৪০)। তবে
এই মামলার অপর আসামি ফুলজান
বিবির স্বামী দেরাজ মিস্ত্রির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে
বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। এই মামলায় ২৯
জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত।
আদালত
সূত্র জানায়, দুর্গাপুরের কাঁঠালবাড়িয়া এলাকায় দেরাজ মিস্ত্রির স্ত্রী ফুলজানের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের
সম্পর্ক ছিল মফিজ উদ্দিনের।
এ নিয়ে স্থানীয় নূরন্নবী
ও মফিজের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
এ নিয়ে তাদের মধ্যে
শত্রুতা তৈরি হয়।
এরই
সূত্র ধরে ২০১৩ সালের
১৫ এপ্রিল রাতে পরিকল্পিতভাবে ফুলজান
বিবি তার বাড়িতে ডাকে
নুরুন্নবীকে। তবে পরিকল্পনা অনুযায়ী,
আগে থেকেই বাড়িতে ওঁৎ পেতে ছিলেন
মফিজ উদ্দিন। একপর্যায়ে নুরুন্নবী
ও মফিজের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় ফুলজান
বিবি ধারালো হাঁসুয়া মফিজের হাতে তুলে দেয়।
মফিজ সেই হাঁসুয়া দিয়ে
নুরুন্নবীর গলায় আঘাত করলে
দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন
হয়ে যায়।
পরে
মফিজ ও ফুলজান বিবি
নুরুন্নবীর মরদেহ বস্তা ভরে ফেলে আসে।
আর মাথাটি আরেক জায়গায় দূরে
ফেলে দেয়। তবে যেই
রাস্তা দিয়ে মৃত নুরুন্নবীকে
নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাতে রক্ত পড়ে
ছিল। এই রক্ত ফুলজান
বিবির বাড়ি থেকে মরদেহ
ফেলে আসা জমি পর্যন্ত
দেখা যায়। এই ঘটনায়
স্থানীয়রা ফুলজান বিবির বাড়ি ঘেরাও করে।
এ ঘটনায়
নুরুন্নবী ছেলে হাসেম আলী দুর্গাপুর থানায় বাদী হয়ে চারজনের
নাম উল্লেখ করলে মামলা দায়ের
করেন। পরে পুলিশ ফুলজান
বিবি, তার স্বামী দেরাজ
মিস্ত্রি, ছেলে আব্দুর রহিম
ও মফিজ
উদ্দিনকে গ্রেফতার করে।
পরবর্তীতে
মামলাটি সিআইডিতে গেলে ছেলে আব্দুর
রহিমের কোনো সংশ্লিষ্টতা না
পাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেয়া
হয়। তবে আদালতে ফুলজান
বিবি ও মফিজ উদ্দিন
হত্যার দায় স্বীকার করে
জবানবন্দি দেন।
নূর/এম. জামান