প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৩, ২০২১, ০৬:৩১ পিএম
চিত্রনায়িকা
পরীমনির করা ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার মামলা পুনঃ তদন্ত চেয়ে চিত্রনায়িকা পরীমনির করা আবেদন
নাকচ করেছেন আদালত। একই সঙ্গে পরীমনিকে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে করা মামলায় পুলিশের
দেয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন আদালত। মামলার পলাতক আসামি শাহ শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে
আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
সোমবার
(১৩ ডিসেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯-এর বিচারক মোহাম্মদ হেমায়েত
উদ্দিনের আদালত এ আদেশ দেয়।
আসামিপক্ষের
আইনজীবী ব্যারিস্টার শামসুল হাসান জানান, শহিদুল আলম পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে
গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। সে সঙ্গে আদালত আগামী ৩ মার্চ শহিদুল আলমের গ্রেফতারসংক্রান্ত
প্রতিবেদন জমার তারিখ নির্ধারণ করে দেয়।
পরীমনির
আইনজীবী নিলাঞ্জনা রিফাত সুরভী জানান, শুটিং থাকার কারণে পরীমনি আদালতে আসতে পারেননি।
তবে আজ আদালতে না আসার কারণে মামলার কোনো ক্ষতি হবে না। নারাজি আবেদন নামঞ্জুর করলেও
আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০/৩০ ও দণ্ডবিধির ৩২৩/৫০৬ ধারায় আমলে নিয়েছে।’
১
ডিসেম্বর পরীমনি আদালতে হাজির হয়ে নারাজি জমা দেন। গত ৬ সেপ্টেম্বর মামলায় নাসির উদ্দিন
মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমি এবং শহিদুল আলম নামের আরেক ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র
জমা দেয় তদন্ত কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন।
গত
১৪ জুন সাভার থানায় ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে
মামলা করেন চিত্রনায়িকা পরীমনি।
মামলার
পর অভিযানের নামে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ওই দিনই নাসির উদ্দিনসহ পাঁচজনকে উত্তরার
একটি বাসা থেকে আটক করে ডিবি পুলিশ। অভিযানে ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মদ-বিয়ার ও
ইয়াবা জব্দ করা হয়।
পরের
দিন রাত ১২টা ৫ মিনিটে ডিবির গুলশান জোনাল টিমের উপপরিদর্শক (এসআই) মানিক কুমার শিকদার
বাদী হয়ে রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলাটি
করেন।
নূর/এএমকে